যে কারণে পোপের প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য তুরস্ক

পোপ লিওকে স্বাগতম জানাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ছবি: রয়টার্স
পোপ লিওকে স্বাগতম জানাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ছবি: রয়টার্স

ভ্যাটিকানে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর শুরু করেছেন ক্যাথোলিক চার্চের সর্বোচ্চ নেতা পোপ চতুর্দশ লিও। সফরের প্রথম গন্তব্য হিসেবে মুসলিমপ্রধান দেশ তুরস্ক এসেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

মে মাসে নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই পোপের প্রথম বিদেশ সফর। তার এই সফরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। গন্তব্য হিসেবে তুরস্ককেও বেছে নিয়েছেন বিশেষ কারণে।

ক্যাথোলিক চার্চের গোড়াপত্তনের শুরুতে তুরস্কে প্রথম নাইসিয়া সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সম্মেলনে নেওয়া অনেক সিদ্ধান্ত ও নীতি এখনো ক্যাথোলিকরা মনেপ্রাণে মেনে চলেন।

রোমান সম্রাট কনস্ট্যানটিনের আমলে তৎকালীন নাইসিয়া নগরীতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এটা ছিল তৎকালীন রাজধানী কনস্ট্যানটিনোপল (হালের ইস্তাম্বুল) থেকে ১০০-১২০ কিমি দূরে অবস্থিত একটি শহর, যা এখন ইজনিক নামে পরিচিত।

সম্প্রতি ওই সম্মেলনের ১,৭০০তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

মূলত এসব ঐতিহাসিক কারণেই বিদেশ সফরের প্রথম গন্তব্য হিসেবে মুসলিম-প্রধান দেশ তুরস্ককে বেছে নেন লিও।

গতকাল স্থানীয় সময়ে দুপুরে লিও (৭০) আঙ্কারা পৌঁছান। ৩ দিনের ব্যস্ত সফর শেষে লেবানন যাবেন পোপ।

রোম থেকে আঙ্কারা আসার পথে ফ্লাইটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পোপ।

প্রথম বিদেশ সফরটিকে বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে লাগাতে চান বলে মত দেন লিও।

লিওর পূর্বসূরি পোপ ফ্রান্সিস লেবানন ও তুরস্ক সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও অসুস্থতার কারণে যেতে পারেননি।

বিদেশের মাটিতে দেওয়া প্রথম বক্তব্যে পোপ লিও বলেন, '(তাদের) উচ্চাভিলাষ ও বেছে নেওয়া পথ ন্যায়বিচার ও শান্তিকে পদদলিত করছে।

প্রথম মার্কিনি পোপ জানান, বিশ্বে এখন অস্বাভাবিক মাত্রায় সহিংসতা-সংঘাত চলছে।

এরদোয়ানের সঙ্গে পোপ। ছবি: এএফপি
এরদোয়ানের সঙ্গে পোপ। ছবি: এএফপি

তিনি তুরস্কের রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, 'বিশ্বে এখন অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সংঘাতের মাত্রা বেড়েছে। এর পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতাধর দেশগুলোর বেছে নেওয়া কৌশল।'

ওই অনুষ্ঠানে পোপের পাশে এরদোয়ানও ছিলেন।

পোপ বলেন, 'এই ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না। মানবতার ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নবিদ্ধ।'

এরদোয়ান তার বক্তব্যে পোপের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে পোপের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই বাস্তবসম্মত। তিনি আশা করেন, পোপের এই সফর অস্থির-অনিশ্চিত সময়ে মানবতার জন্য উপকার বয়ে আনবে।

ইতোমধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন পোপ লিও। তবে ওই বৈঠকের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সেপ্টেম্বরে পোপের সঙ্গে ভ্যাটিকানে দেখা করেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগ। এ সময় পোপ তাকে গাজার 'মর্মান্তিক পরিস্থিতির'অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান।

Comments

The Daily Star  | English
Sharif Osman Hadi dies in Singapore

Sharif Osman Hadi no more

Inqilab Moncho spokesperson dies in Singapore hospital

10h ago