চা নাকি কফি, কোনটি খাওয়া ভালো

 চা কফি
ছবি: সংগৃহীত

চা ও কফি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়। কেউ চা পান করতে পছন্দ করেন, আবার কেউ কফিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে চা ও কফির মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।

এ বিষয়ে জানিয়েছেন মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মী-

  • চা ও কফি দুটোতেই রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে কিংবা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালস দূর করে।
  • দুটিই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • চা ও কফিতে থাকে প্রচুর ক্যাফেইন। ক্যাফেইন পারকিনসন্স নামক মস্তিষ্কের রোগ প্রতিহত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে শরীর ও মনকে সতেজ করে।
  • স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে কফি ও গ্রিন টি ভূমিকা রাখে।
  • শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক করে।
  • ত্বক মসৃণ করে।
  • কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে।
  •  ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।

কোনটি এগিয়ে

চা ও কফির পুষ্টিগুণ নির্ভর করে আপনি সেটি কীভাবে খাচ্ছেন এবং কোন সময়ে খাচ্ছেন তার ওপর। ব্ল্যাক কফি, গ্রিন টি, র চা খেলে শরীর ভালো থাকে। চা ও কফির সঙ্গে দুধ ও চিনি মিশিয়ে খাওয়া হলে এটি শরীরের উপকার থেকে অপকার বেশি করে। বিভিন্ন প্রসেসড চা ও কফি খেতে সুস্বাদু হলেও এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালিপেটে চা ও কফি খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। চা ও কফি খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট পর খাওয়া ভালো। রাতে ঘুমানোর সময় চা-কফি পান করলে ক্যাফেইনের প্রভাবে অনিদ্রা দেখা দিতে পারে।

চা ও কফি দুটোরই আছে উপকারী গুণ। প্রধান পার্থক্য হলো ক্যাফেইনের মাত্রা। কফিতে চায়ের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে শরীর-মন সতেজ করতে চাইলে বেছে নিতে পারেন কফি। অন্যদিকে চা দীর্ঘক্ষণ মন ভালো রাখতে সক্ষম।

ঠান্ডার সময় জ্বর, কাশি হলে চিনি ও দুধ ছাড়া লেবু চা বিশেষ উপকার করে। আবার শরীর গরম রাখতে কফি খাওয়া ভালো।

গরমের মৌসুমে কফির চেয়ে চা খাওয়াই ভালো। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ডিহাইড্রেট করে। চায়ে ক্যাফেইনের পরিমাণ কম থাকে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Purchasing Managers’ Index

Bangladesh’s economy might have expanded in August: PMI

Growth stalls in agriculture, construction, as input costs and employment decline

52m ago