তাইওয়ানকে অস্ত্র দেওয়ায় ২৮ মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে চীনের নিষেধাজ্ঞা

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করায় মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী সংশ্লিষ্ট ২৮ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেইজিং। আরও ১০ মার্কিন কোম্পানিকে 'অবিশ্বস্ত সত্তা' হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক সপ্তাহ আগে এলো এই নিষেধাজ্ঞা। ট্রাম্পের শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকির মুখে এটি বেইজিংয়ের পাল্টা জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, 'জাতীয় নিরাপত্তা এবং স্বার্থ রক্ষায়' যুক্তরাষ্ট্রের ২৮টি কোম্পানিকে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের বেসামরিক ও সামরিক উভয় প্রয়োজনে ব্যবহারযোগ্য সব পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পাশাপাশি আরও ১০টি মার্কিন কোম্পানিকে 'অবিশ্বস্ত সত্তা' হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যারা সরাসরি তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানকে চীনে ব্যবসা করার অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের নির্বাহীদের চীনে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

চীনের নিষেধাজ্ঞায় থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে—রেথিয়ন মিসাইল সিস্টেমস, বোয়িং ডিফেন্স, স্পেস অ্যান্ড সিকিউরিটি এবং লকহিড মার্টিন মিসাইলস অ্যান্ড ফায়ার কন্ট্রোলের মতো যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা পণ্য নির্মাতারা।

তাইওয়ান চীনের অধীনস্থ একটি স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র। তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে করে এলেও জাতিসংঘ এবং বিশ্বের প্রায় সব দেশ 'এক চীন'—অর্থাৎ তাইওয়ানসহ সমগ্র চীনের প্রশাসক হিসেবে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বীকৃতি দেয়।

বেইজিংকে পাশ কাটিয়ে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রিকে এক চীন নীতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত পত্রিকা চায়না ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিংয়ের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও তাইওয়ানে এসব প্রতিষ্ঠানের অস্ত্র বিক্রি 'এক চীন নীতি ও (গত শতাব্দীতে স্বাক্ষরিত) চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার তিনটি যৌথ ঘোষণার লঙ্ঘন'। এই অস্ত্র বিক্রি তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে বলেও অভিযোগ করে পত্রিকাটি।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

9h ago