পাত্রী খুঁজতে নিজের রিকশায় বিজ্ঞাপন ভারতীয় যুবকের

অভিনব প্রক্রিয়ায় পাত্রী খুঁজছেন দিপেন্দ্র রাঠোর। ছবি:স্ট্রেইটস টাইমস
অভিনব প্রক্রিয়ায় পাত্রী খুঁজছেন দিপেন্দ্র রাঠোর। ছবি:স্ট্রেইটস টাইমস

পাত্রীর খোঁজে এক ৩০ বছর বয়সী ভারতীয় যুবক তার নিজের রিকশার এক পাশে জীবনবৃত্তান্তসহ বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। ভারতের মধ্যপ্রদেশ অঙ্গরাজ্যে এই ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার ইন্ডিয়া টুডের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমস।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই অঙ্গরাজ্যের দামোহ শহরের বাসিন্দা দিপেন্দ্র রাঠোর ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, 'সামাজিক পরিমণ্ডলে নারীর স্বল্পতার কারণে' উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পেতে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন।

তিনি জানান, এর আগে তিনি একটি ঘটকালি গ্রুপে যোগ দিয়েছিলেন। এই গ্রুপটি অবিবাহিত নারী-পুরুষকে উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পেতে সহায়তা করে। কিন্তু তিনি তার নিজ শহরে কোন উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পাননি।

যার ফলে প্রচলিত প্রথার বাইরে যেয়ে পাত্রী খুঁজে পেতে তার নিজস্ব ইলেকট্রনিক রিকশার একপাশে জীবনবৃত্তান্তসহ বিজ্ঞাপন যোগ করেছেন তিনি।

এই বিজ্ঞাপনটি মূলত হিন্দি ভাষায় লেখা। এতে তার উচ্চতা, জন্ম দিবস, জন্মের সময়, রক্তের গ্রুপ, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গোত্রের বৃত্তান্ত উল্লেখ করা হয়েছে। 

দিপেন্দ্র রাঠোরের জীবনবৃত্তান্ত। ছবি: স্ট্রেইটস টাইমস
দিপেন্দ্র রাঠোরের জীবনবৃত্তান্ত। ছবি: স্ট্রেইটস টাইমস

দিপেন্দ্র জানান, তিনি যেকোনো ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের নারীদের কাছ থেকে আসা বিয়ের প্রস্তাব বিবেচনায় নিতে আগ্রহী। তিনি আরও জানান, তিনি এখন দামোহ শহরের বাইরের নারীদেরকেও পাত্রী হিসেবে বিবেচনা করবেন। 

প্রথাগতভাবে এ অঞ্চলের বাসিন্দারা নিজেদের এলাকার মানুষকেই বিয়ে করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে থাকে।

দিপেন্দ্রর এই অনন্য বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের নজর কেড়েছে, কারণ এ ভাবে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে রিকশার মতো একটি বাহনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ঘটনা বেশ বিরল।

তিনি আরও জানান, তার বাবা-মা মূলত ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তারা সন্তানের এই অনন্য প্রক্রিয়ায় পাত্রী খোঁজার বিষয়টিতে বেজার না হয়ে বরং আশীর্বাদ দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

Projections by the United Nations Food and Agriculture Organization (FAO) indicate that tea cultivation areas could shrink by 2050.

7h ago