লাউয়াছড়ায় বগি লাইনচ্যুত

‘ট্রেন ধীরে চলায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি’

মৌলভীবাজার, লাউয়াছড়া, উদয়ন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত,
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে লাইনচ্যুত ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সেকশনের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধীরে চলায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল রানা।

তিনি বলেন, 'বনের ভেতর ঝড়ে ১০ ফুট বেড় ও ৪৫ ফুট লম্বা একটি গাছ রেললাইনের ওপর পড়ে ছিল। ট্রেনটি সেই গাছে ধাক্কা দিলে ইঞ্জিনসহ ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে, ট্রেনটি লাউয়াছড়ায় ধীরে চলায় আনুপাতিক হারে কম ক্ষতি হয়েছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।'

এদিকে লাইনচ্যুত ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধারে স্থানীয়রা সহযোগিতা করছেন। ইতোমধ্যে সেখানে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

লাউয়াছড়া পুঞ্জির বাসিন্দা সাজু মারছিয়াং বলেন, 'ভোরে খবর পেয়ে পুঞ্জির বাসিন্দারা এখানে হাজির হন। সবাই নিজের সাধ্য মতো সহযোগিতা করছেন। কেউ কেউ গাছ কাটছে। কেউ গাছের ডাল সরাচ্ছে। কেউ আবার পানি সরবরাহ করছে।'

মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, 'রাতে ঝড়ের সময় বড় একটি গাছ লাইনের ওপর আছড়ে পড়ে। ওই গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উদয়ন ট্রেনের বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়। সরকারি সংস্থা ছাড়াও স্থানীয়রাও কাজ করছেন।'

রেলওয়ে পুলিশের এসআই ফখরুল ইসলাম জানান, 'ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ শব্দ করে ট্রেনটি ঝাঁকুনি খায় ট্রেনটি। তখন সহকর্মীদের নিয়ে ট্রেনের সামনের দিকে গিয়ে দেখতে পাই ইঞ্জিনসহ ৩টি বগি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লাইনচ্যুত হয়েছে। তখন আমরা যাত্রীদের উদ্ধার করি।'

তিনি আরও বলেন, 'ইঞ্জিনের পেছনে খাবার গাড়ি ও ১টি বগির যাত্রী শায়েস্তাগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নেমে যাওয়ায় যাত্রী সংখ্যা কম ছিল। তাই কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।'

আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল রানা বলেন, 'বনের ভেতর ঝড়ে একটি (চাপরাশি) ১০ ফুট বেড় ও ৪৫ ফুট লম্বা গাছ রেললাইনের ওপর পড়ে ছিল। ট্রেনটি সেই গাছে ধাক্কা দিলে ইঞ্জিনসহ ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেন লাউয়াছড়াতে ধীরে চলাতে আনুপাতিক হারে কম ক্ষতি হয়েছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh-US tariff talks underway in Washington

Based on progress made so far, Bangladesh hopes for a positive outcome

7h ago