ডুবে যাওয়া ফেরি তোলার প্রস্তুতি চলছে

ডুবে যাওয়া ফেরি তোলার প্রস্তুতি চলছে
উদ্ধাকারী জাহাজ হামজা। ছবি: স্টার

পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া 'রজনীগন্ধা' ফেরিটি তোলার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। উদ্ধারকাজে যোগ দিতে আরও একটি জাহাজ আসছে।

আজ বুধবার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ।

তিনি জানান, ডুবে যাওয়া ফেরিটি তোলার প্রস্তুতি চলছে। দুপুর ১২টায় হামজা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আরও একটি জাহাজ আসছে।

এদিকে ফেরিটির নিচে ছিদ্র ছিল এবং সেই কারণে পানি ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া দুইজন।

তবে, কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘন কুয়াশায় বালু তোলা নৌকা বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ফেরিটি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ডুবে যায়।

উদ্ধার হওয়ার পর ফেরির যাত্রী ট্রাকচালক সাজ্জাদ ও চামড়া ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, ফেরিটির নিচে ছিদ্র ছিল। ছিদ্র দিয়ে পানি ঢোকে।

উদ্ধার হওয়া আরেক ট্রাকচালক আশিক শেখের (৩৫) বাড়ি কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতলী এলাকায়। তিনি বলেন, 'ফেরির এক লোক এসে বললেন, "ফেরিতে পানি উঠছে। আপনারা নেমে যান"। আমি খুব কষ্টে সাঁতরে পাড়ে এসেছি। আমি ট্রাকে তুলাবোঝাই করে গাজীপুরে যাচ্ছিলাম। ফেরির সঙ্গে কোনো কিছুর ধাক্কা লাগেনি।'

স্থানীয় আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনিক জানান, তিনি দুই রকমের কথাই শুনেছেন। কেউ কেউ বলেছেন ফেরিটির নিচে ছিদ্র ছিল এবং সেই কারণে পানি ঢুকেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি তলিয়ে যায়।

শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি তলিয়ে যায়।

ধাক্কা দেওয়া বাল্কহেডটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘন কুয়াশায় বাল্কহেডটির সঙ্গে ফেরির ধাক্কার পরপরই সেটি অন্যত্র চলে গেছে।

ফেরির নিনে ছিদ্র থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত হবে। তদন্ত শেষে এই ফেরিডুবির বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Unveil roadmap or it’ll be hard to cooperate

The BNP yesterday expressed disappointment over the absence of a clear roadmap for the upcoming national election, despite the demand for one made during its recent meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus.

6h ago