পাংশায় লাইব্রেরিয়ান হত্যা

মুখোশধারীরা মিজানুরের পরিচয় জানার পর গুলি করে: প্রত্যক্ষদর্শী

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় স্কুল লাইব্রেরিয়ান মিজানুর রহমানকে ৭-৮ জন মুখোশধাদের একটি দল গুলি করে হত্যা করে বলে জানা গেছে। তারা মিজানুরের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে পরিচয় জিজ্ঞাসা করে।

আজ সোমবার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

নিহত মিজানুর রহমান পাংশা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক ছিলেন। গতকাল রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার কলিমোহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা বাজারে অজ্ঞাত হামলাকারীরা তাকে গুলি করে।

সে সময় তিনি মোটরসাইকেলে আরও ২ ব্যবসায়ীকে সঙ্গে নিয়ে হোসেনডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। ওই বাজারে তার কীটনাশক ও ভূষির ব্যবসা ছিল। 

হামলায় অবশ্য অপর দুজনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, শুক্রবার মিজানুরের দোকানে হালখাতা ছিল। হালখাতা শেষে তিনি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। দোকান থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মুখোশধারীরা দুর্বৃত্তরা। 

মোটরসাইকেলে থাকা ৩ জনের মধ্যে মিজানুর রহমান কে, জানতে চায় দুর্বৃত্তরা। মিজানুর নিজের পরিচয় দেওয়া মাত্র দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তার বাম কানের নিচে গুলি করা হয়। 

মিজানুর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা এসে নিহত মিজানুরসহ ৩ জনকে উদ্ধার করে। অপর দুজন স্থানীয়দের হামলার ঘটনার বিবরণ দেন।

নিহতের স্ত্রী শাহানারা বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার স্বামীর কোনো শত্রু ছিল না। তবে দোকানের পাশে একটি জমি কেনা নিয়ে প্রতিবেশি ব্যবসায়ী অসিত বিশ্বাসের সঙ্গে বিরোধ ছিল। গতকালও তা নিয়ে কথা হয়।'

নিহতের শ্যালক পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহীদুল ইসলাম মারুফ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার দুলাভাই বাড়ি ফেরার সময় সঙ্গে দুজন ছিল। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।'

এদিকে মিজানুরের প্রতিবেশী অসিত বিশ্বাসকেও পুলিশ আটক করেছে বলে তার স্ত্রী কাঞ্চন বিশ্বাস জানান। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত ১টার দিকে একজন পুলিশ বাসায় এসে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যান। পুলিশ তাকে গাড়িতে তোলে। আমাকে জানায় স্বামীকে সকালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সকালেও তিনি বাড়িতে ফেরেননি।' 

জানতে চাইলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন সাহা ডেইলি স্টারকে জানান, 'হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।'

ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Awami League tenure: ACC probing 15yrs of financial irregularities

The Anti-Corruption Commission (ACC) has launched an investigation into alleged corruption by individuals, financial institutions, industrial groups, and loan defaulters during the Awami League’s 15-year tenure, which it claims led to the destruction of the country’s financial system.

4h ago