অটোরিকশাচালকের চোখ উপড়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় এক অটোরিকশাচালকের চোখ উপড়ে তা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীকে মারধর ও হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগও এসেছে।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের রুপবাবুরহাটে এই ঘটনা ঘটে।
আহত অটোরিকশাচালক রমজান মিয়াকে (৩৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে রমজান রিকশা নিয়ে জাজিরা থেকে নাওডোবার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় সুমন শিকদার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে রমজানের রিকশার গতিরোধ করে। পরে রমজানকে সবাই মিলে সুমনের বাড়ির পেছনে নিয়ে যায়। এরপর রমজানের দুই চোখ উপড়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তার হাত-পায়ের রগও কেটে ফেলা হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গেলে সুমন সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। সে সময় শাহজান সম্রাট নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সুমনের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও একজনকে আটক করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন শিকদার বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, সুমনসহ আরও কয়েকজন এক ব্যক্তিকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছে। পরে আমাদের দেখে সবাই পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আমরা আটক করে পুলিশে দিয়েছি। সুমন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত।
ভুক্তভোগী রমজান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমি অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় সুমন ও তার সহযোগীরা আমাকে থামায়। পরে তারা আমাকে নিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে এবং হাতপায়ের রগ কেটে দেয়।
সুমনের বাড়ির পেছনে নিয়মিত মাদক ও জুয়ার আসর বসার অভিযোগ করে রমজান আরও বলেন, মাঝেমধ্যে পুলিশ রাতে আমার অটোরিকশায় করে টহল দিতো। সেই কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আমার ওপর এই হামলা করেছে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহম্মেদ পারভেজ সেলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অটোরিকশাচালকের চোখ উপড়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে জানতে পেরেছি, অটোরিকশাচালকের চোখ উপড়ে নেওয়ার পর পুড়িয়ে ফেলেছে অভিযুক্তরা এবং এই ঘটনায় জড়িত সুমন নামে একজনের বাড়িতে স্থানীয়রা আগুন দিয়েছে।
Comments