পিবিআই হেফাজতে হত্যা মামলার আসামির ‘আত্মহত্যা’
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হেফাজতে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। পিবিআই দাবি করেছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
পিবিআই হেফাজতে মারা যাওয়া মোকাদ্দেস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি লিটন মিয়া (২৭) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) জাফর হোসেন সোমবার জানান, মোকাদ্দেস হেফাজতে থাকা অবস্থায় লুঙ্গি ছিঁড়ে গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে পতনঊষার ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দগ্রামে একটি মসজিদের পাশ থেকে লিটনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় লিটনের বাবা মামলা করলে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
জাফর হোসেন জানান, ক্লুলেস এই মামলার তদন্ত শেষে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো শুরু করে পিবিআই। ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজনগর থানা এলাকা থেকে শামীম আহমদকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, শামীমকে ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
শামীম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, লিটন তার বোনকে উত্ত্যক্ত করতো। এ ছাড়া, এলাকায় বখাটেপনা ও চুরির সঙ্গেও জড়িত থাকায় মোকাদ্দেসসহ তারা সাত-আটজন মিলে লিটনকে হত্যা করে।
শামীমকে গ্রেপ্তারের দিন, অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দেস। থানা পুলিশ জানায়, ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরদিন মোকাদ্দেস আত্মহত্যা করেন বলে জানায় পিবিআই। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয় এবং একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহ পরীক্ষা করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মৌলভীবাজার থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে।
পিবিআই পুলিশ সুপার জাফর হোসেন বলেন, 'লিটন হত্যায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'


Comments