লক্ষ্মীপুরে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা, ভাতিজা গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় নিহত নারীর স্বামীর ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে সোহেল রানা (৩০) নামের ওই যুবককে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত জুলেখা বেগমের স্বামী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে শুক্রবার বিকেলে রামগঞ্জ থানায় হত্যা ও ডাকাতির মামলা করেছেন।
আটক সোহেল রানা উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন বাহারের ছেলে এবং মামলার বাদী মিজানুর রহমানের ভাতিজা।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আশা করি, খুব দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।'
গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর রামগঞ্জের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামে নিজেদের বাড়িতে খুন হন জুলেখা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে কলেজছাত্রী তানহা আক্তার মীম (১৮)। দুর্বৃত্তরা মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
রাত ৯টার দিকে জুলেখার ছেলে ফরহাদ হোসেন বাড়িতে ফিরে দোতলার একটি কক্ষে তার মা ও বোনের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
এদিকে, শুক্রবার বিকেলে নিহতদের জানাজায় অংশ নিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। এর মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
Comments