গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ৩ কিশোরের কারাদণ্ড

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের মামলায় তিন কিশোরকে ১০ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুই কিশোরকে পর্নোগ্রাফি আইনে আরও তিন বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন শহীদ। তার বাবা গত বছর ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হন। আহত অবস্থায় ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান তিনি। আর ভুক্তভোগী কিশোরীর মরদেহ গত ২৬ এপ্রিল ঢাকার শেখেরটেক এলাকায় তাদের ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
রায়ের ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন। তিনজন আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আইন অনুযায়ী তাদের সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্নোগ্রাফি আইনে দেওয়া তিন বছরের সাজা মূল সাজা শেষে কার্যকর হবে।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আসামিদেরকে কড়া নিরাপত্তায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র, যশোর থেকে আদালতে আনা হয়। সাজা ঘোষণার পর তাদেরকে আবার সেখানেই পাঠানো হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে কলেজশিক্ষার্থী কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায় তিন কিশোর। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে এবং ওই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের হুমকি দেয়। এই ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নিজে দুমকি থানায় মামলা করে।
তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন শেষে আদালত আজ রায় দেন।
Comments