ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: আরও দুজন গ্রেপ্তার

দিপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৭) নামের এক সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন আশিক ও কাইয়ুম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশ।

গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানায়, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. লিমন সরকার, মো. তারেক হোসেন, মো. মানিক মিয়া, এরশাদ আলী, নিজুম উদ্দিন, আলমগীর হোসেন ও মো. মিরাজ হোসেন আকন। 

এদিকে গতকাল ও আজ রোববার ভোরে পৃথক অভিযানে মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- আজমল হাসান সাগির, মো. শাহীন মিয়া, কাইয়ুম, আশিক ও মো. নাজমুল। 

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রেপ্তার ১২ জনকে ভালুকা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে কারখানার ভেতরে একদল শ্রমিক দিপুকে মারধর শুরু করেন। 

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মারধরের একপর্যায়ে হামলাকারীরা দিপুকে কারখানার বাইরে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় লোকজনও তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এবং পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে হামলাকারীরা তার মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মরদেহ আংশিক পুড়ে যায়। পুলিশ পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার নিহতের ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ১৪০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে নামে।

গতকাল এ ঘটনায় 'ধর্ম অবমাননা'র কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার মো. সামসুজ্জামান জানান, নিহত ব্যক্তি ধর্ম অবমাননা করে ফেসবুকে কিছু লিখেছেন, এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেও এমন কিছু পাওয়া যায়নি।

সামসুজ্জামান বলেন, 'সবাই এখন বলছেন, তারা তাকে (নিহত শ্রমিক) এমন কিছু বলতে নিজেরা শোনেননি। কেউ নিজে শুনেছেন বা দেখেছেন (ধর্ম অবমাননার বিষয়ে) এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia’s body being taken to Manik Mia Avenue for janaza

Janaza will be held at Manik Mia Avenue at 2pm

1h ago

Farewell

10h ago