‘সর্ষের ভেতরে ভূত’ আছে, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ব্যাপারে শামীম ওসমান

‘সর্ষের ভেতরে ভূত’ আছে, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ব্যাপারে শামীম ওসমান
শামীম ওসমান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অনেকে 'অন্য কারও' উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভোটার উপস্থিতি কি একটু কম মনে হচ্ছে, ভোটাররা কি আতঙ্কিত—গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি প্রথম একটি কেন্দ্রে এলাম এবং কবরস্থান থেকে আসার সময় দুটি কেন্দ্র দেখে এলাম। এই কয়টাতে দেখলাম, সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে যাচ্ছে এবং নারীদের ব্যাপক উপস্থিতি আছে।

'কিছুটা তো কম হবে এই কারণে ট্রেনে আগুন দেওয়া, স্লোগান দিচ্ছে "ভোট কেন্দ্রে আসবে যারা, লাশ হয়ে ফিরবে তারা", স্বাভাবিকভাবে যারা  সাধারণ মানুষ তারা তো একটু ভয় পায়,' বলেন তিনি।

সর্ষের ভেতরে ভূত আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'যারা নির্বাচন পরিচালনা করছেন, এদের ভেতরেও কিছু ভূত আছে বলে আমার মনে হচ্ছে। যেটা আমি আমার এলাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পেয়েছি। অনেকেই চাচ্ছেন, তারা হয়তো ছোট ছোট কর্মকর্তা, তারা চাচ্ছেন ভোটটাকে ঘোরাতে। একবার ওই রুমে পাঠায়, একবার এই রুমে পাঠায়, একবার উপরে পাঠায়। এভাবে যখন একটা মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায় দুই জায়গায় গিয়ে তিনবারের বার সে দিতে চায় না।'

শামীম ওসমান বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের কোনো রুলস নেই কিন্তু সকালে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন নিয়ে কেউ ঢুকতে পারবে না। আমার একটা এলাকা থেকে শত শত ভোটার এভাবে ফেরত গেছে। সবার কাছে এখন মোবাইল ফোন থাকে।

'পারে আমি রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি। উনি বলেছেন, এ ধরনের কোনো আইন নেই। যে কয়টা কেন্দ্রের ব্যাপারে খবরটা এসেছিল উনি জানিয়েছেন কিন্তু ওই সময়টার মধ্যে অন্তত দুই থেকে তিন হাজার ভোট হয়তো ফেরত চলে গেছে,' বলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এই প্রার্থী আরও বলেন, 'এ রকম কিছু কিছু লোক আছেন কিছু কিছু সেন্টারে, আমার মনে হচ্ছে যারা সরকারি কাজে এসেও অন্য কারও উদ্দেশ্য পূরণ করার চেষ্টা করেছেন কিংবা করছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

2h ago