মানিকগঞ্জে সড়কের খানাখন্দে ট্রাক আটকে ৭ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ

সড়কের খানাখন্দে ফেলা বালুতে সকালে আটকে যায় পাথরবোঝাই ট্রাক। ছবি: স্টার

মানিকগঞ্জ জেলা শহরের আন্ধারমানিক সড়কের ভাঙা স্থানে একটি পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। 

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ট্রাকটি সেখানে আটকা পড়ে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রাকটি সেখান থেকে সরানো হলে আবার যান চলাচল শুরু হয়।

ওই সাড়ে ৭ ঘণ্টা ওই সড়কের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এক কিলোমিটার যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন সড়ক ব্যবহারকারীরা।

দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি পাথরবোঝাই ট্রাক সড়কের ভাঙা অংশে আটকে আছে। ট্রাকের চাকার নীচে ইট ও কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ট্রাকটিকে ওঠানোর চেষ্টা চলছে। 

ট্রাকটি সড়কের মাঝে আড়াআড়িভাবে থাকায় গাড়ি পাশ পরিবর্তন করতে পারছে না। এতে উভয় পাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সে সময় যানজট নিরসনে কিংবা সড়ক থেকে আটকে পড়া গাড়ি সরাতে প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই বেউথা সেতু-আন্ধারমানিক সড়কের দেড় কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশই খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব খানাখন্দে পানি জমে। 

এলাকাবাসী জানায়, সড়কের ভাঙা স্থানে পানি জমে থাকায় মাঝে মাঝেই ছোট ছোট গাড়ি উল্টে যায়, দুর্ঘটনা ঘটে। গত ৩-৪ বছর ধরে এ দুরবস্থা চলছে। পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কে কয়েকবার ইট ও বালু ফেললেও তা কোনো কাজে আসেনি।

সোমবার রাতে ভাঙা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বালু ফেলা হয়। ওই বালুতেই আজ সকালে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যায় বলে দাবি করে চালক।

মানিকগঞ্জ পৌরসভার স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু মো. নাহিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বললেন, 'বৃষ্টি হলেই সড়কের ভাঙা স্থানে পানি জমে থাকে। সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী রাখতে ভাঙা স্থানে বালু ও ইটের খোয়া ফেলা হচ্ছে।'

তিনি জানান, আনলোড করার পর বিকেল সাড়ে ৮টার দিকে ট্রাকটিকে চালু করা সম্ভব হয়। ট্রাক সরে যাওয়ার পর রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দেড় কিলোমিটার এ সড়কটির কোনো অভিভাবক না থাকায় সড়কটি নতুন করে নির্মাণের জন্য এগিয়ে এসেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পৌর কর্তৃপক্ষ এই সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ। এ কারণে আমরা এগিয়ে এসেছি। দেড় কিলোমিটার সড়কের ভাঙা স্থানে আরসিসি ঢালাইসহ সড়কটি নতুন করে করব। আশাকরি শিগগির দরপত্র আহ্বান করতে পারব।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Experts from four countries invited to probe into Dhaka airport fire: home adviser

Says fire that spread fast due to chemicals, garment materials was contained in time

14m ago