খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া দাবিতে ৩ ঘণ্টা সড়ক-রেলপথ অবরোধ শ্রমিকদের

খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ী গেটে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি পাটকল চালু, বকেয়া পরিশোধসহ ৬ দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বেসরকারি পাট, সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ী গেটে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেয় শ্রমিকরা।

নগরীর শিরোমণি শিল্পাঞ্চলে বন্ধ হওয়া ব্যক্তিমালিকানাধীন মহসেন, আফিল, সোনালী, অ্যাজাক্স, জুট স্পিনার্সসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

সকাল থেকে শ্রমিকরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ফুলবাড়ী গেট জনতা মার্কেটের সামনে জড়ো হন। পরে তারা রেললাইন ও মহাসড়ক অবরোধ করে।

শ্রমিকরা জানায়, মহসেন জুট মিলের শ্রমিকরা শ্রম আইন অনুযায়ী ৯ বছর ধরে তাদের চূড়ান্ত পাওনা পায়নি।

সোনালী, অ্যাজাক্স ও আফিল জুট মিলের শ্রমিকদেরও একই অবস্থা। মালিক পক্ষ কারখানা দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পায়। কিন্তু ওই টাকা তারা অন্যখাতে ব্যয় করে। শ্রম অধিদপ্তর এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের আগে কারখানা থেকে কোনো মালামাল বের হওয়ার কথা না। কিন্তু এরপরও কারখানা কর্তৃপক্ষ মালামাল বের করে বিক্রি করে দিচ্ছে।

বেসরকারি পাট, সুতা, বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি। কিন্তু কেউ আমাদের সমস্যা সমাধান করছে না। মালিকপক্ষ আমাদের পাওনা টাকা না দিয়ে মিলের সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে।'

চলতি সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের দাবি জানান শ্রমিকরা। আর তা না হলে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ী গেটে জনসভা এবং ১৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফুলবাড়ী গেটে রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয় আজকের কর্মসূচি থেকে।

Comments

The Daily Star  | English

ACC won’t need approval to sue govt officials

The Anti-Corruption Commission will no longer require government approval to file cases against judges and public servants, according to the draft ACC Ordinance 2025.

8h ago