সেতুর জন্য সাঁকো

সেতু
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাটের সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় সেতুটি ব্যবহার করতে পারছেন না এলাকাবাসী। ছবি: এস দিলীপ রায়

সেতু নির্মাণের ১৫ মাসেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় কাজে আসছে না লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের একটি সেতু। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন এই সেতুটির নির্মাণ গত বছরের মে মাসে শেষ হলেও আদৌ এর সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থ সেতুটি ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা ছড়ারপার এলাকায়। 

সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশ দিয়ে বানানো সাঁকো দিয়ে সেতুতে উঠে পার হন ইটাপোতা, বনগ্রাম, ছড়ারপার, খারুয়া ও বুমকা গ্রামের মানুষ।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অফিস সূত্র জানায়, সেতুটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শেষ হয়। ওই মাসেই সেতুটি হস্তান্তর করার চুক্তি ছিল ঠিকাদারের সঙ্গে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি এখনো হস্তান্তর করেননি ঠিকাদার লিটন ইসলাম। ঠিকাদারকে ৮০ শতাংশ বিল দেওয়া হয়েছে।

ছড়ারপার এলাকার কৃষক নুরনবী ইসলাম (৬৭) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রায় ১৫-১৬ মাস সেতুটি এভাবে পড়ে আছে। স্থানীয় লোকজন নিজেরাই বাঁশ-ও কাঁঠ দিয়ে সেতুর সাথে সংযোগ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করছেন।

ইটাপোতা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম (৫৫) বলেন, সংযোগড় সড়ক না থাকায় সেতুটি তাদের কোনো কাজে আসছে না। 'আমরা আগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতাম সেটাই আমাদের জন্য ভালো ছিল। সেতুটি এখন আমাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঠিকাদার লিটন ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বন্যার কারণে সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণে দেরি হচ্ছে। এছাড়া সংযোগ সড়কের জন্য মাটিও পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য স্থান থেকে মাটি এনে সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্কতা (পিআইও) মশিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য গেল ১৫ মাসধরে ঠিকাদারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তিনি কথা শুনছেন না। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে সংযোগ নির্মাণকাজ শেষ করা না হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago