উখিয়ায় পাহাড় কাটতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

কক্সবাজারে পিকনিক বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৪
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় পাহাড় কাটতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে জালিয়াপালং ইউনিয়নের কাসিম মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মৃত মোসলেম উদ্দিন (২৯) পাইন্যাশিয়া চাককাটা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হোসেন বলেন, 'মোসলেম উদ্দিনসহ কয়েকজন আজ ভোরে জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাসিম মার্কেটের দক্ষিণ পাশে বায়তুশ শরফ সংলগ্ন পাহাড়ে স্থানীয় হেলাল কোম্পানির ডাম্পার ট্রাক নিয়ে মাটি কাটতে যান। মাটি কাটার এক পর্যায়ে পাহাড়ের একটি অংশ ও গাছের ধারালো শিকড় মোসলেম উদ্দিনের শরীরে ডুকে যায়।'

তিনি বলেন, 'অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মোসলেম উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। সঙ্গীরা তাকে কুতুপালং এলাকার এনজিও পরিচালিত একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

ইনানী বন রেঞ্জের কর্মকর্তা ফিরোজ আহমদ বলেন, 'চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযানও চালানো হয়েছে। গতকাল রাতেও অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে সংঘবদ্ধ দলটি পালিয়ে যায়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরপরই আবারও তারা পাহাড় কাটতে যায় এবং এ দুর্ঘটনা ঘটে।'

তিনি জানান, পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ দিকে আজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চাপায় এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন জানান, নিহত রোহিঙ্গার নাম গুরা মিয়া (৭২)। তিনি কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৯ ব্লকের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।

তিনি বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা অটোরিকশাটি জব্দ করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Jet slams into school, kills 22, mostly children

The final bell had rung.Dozens of children from the primary section of Milestone School and College in Dhaka, along with their guardians and teachers, lingered inside the two-storey building -- some preparing to head home, chatting and winding down from the day.

3h ago