বান্দরবান সীমান্তের ওপারে লড়াই, এপারে আতঙ্কে গ্রামবাসী

সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গুলির লড়াই শুরু হওয়ার পর ফাঁকা হয়ে যায় বাজারের রাস্তা। ছবিটি আজ শনিবার বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু বাজারের। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে গুলি এবং মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সফিকুল ইসলাম জানান, বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। দুই দিন পরিস্থিতি শান্ত থাকার পর আবার সেখানে সংঘাত শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাধারণত রাতে গুলির শব্দ পাওয়া যেত। এখন দিনেও গোলাগুলির শব্দে মানুষ আরও বেশি নিরাপত্তাহীন বোধ করছে।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

এদিকে আজ বন্দুকযুদ্ধ শুরু হবার পর মিয়ানমার দিক থেকে আসা একটি গুলির আঘাতে সীমান্ত থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে তমব্রুর উত্তরপাড়া সড়কে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার উইন্ডশিল্ড ভেঙে যায়।

ইউপি সদস্য সফিকুল এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান তিনি।

বাজারের একটি টেইলারিং দোকানের মালিক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, 'মিয়ানমারে বন্দুকযুদ্ধের সময় তমব্রু বাজারে আমার দোকান থেকে ১০০ রাউন্ড গুলির শব্দ এবং তিনটি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরে এসেছি।'

তিনি জানান, বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলে তমব্রু বাজারে লোকজন তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারী মানুষ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আতঙ্কে আছেন। লড়াই তীব্র হওয়ায় গত কয়েকদিনে ঘুমধুম সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী শত শত মানুষ আতঙ্কে অন্য জায়গায় সরে গেছেন।

সূত্র জানায়, আরাকান আর্মি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিপরীতে অবস্থিত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের সব সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে। ঘুমধুমের তমব্রু বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীতে মিয়ানমারের সামরিক ক্যাম্পটিও বিদ্রোহীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আরাকান আর্মির সদস্যরা ক্যাম্পটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ কারণে প্রায়ই বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

'NCP could win 150 seats'

Nasiruddin Patwary says BNP unlikely to secure more than 50-100 seats in the upcoming national election

19m ago