ডিজিটাল নৌকার বাজারে বাড়ছে বেচাকেনা

ছবি: পার্থ চক্রবর্তী/স্টার

ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করে নৌকা বেচাকেনার অভিনব উপায় খুঁজে বের করেছেন কচুয়া উপজেলার নৌকা কারিগররা।

মোবাইলে নৌকা বেচাকেনার এই পদ্ধতির বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন টেংরাখালী গ্রামের ডিঙ্গি নৌকার কারিগর আলতাফ হোসেন ও সোবহান শেখ। তারা চাম্বল ও মেহগনি কাঠ দিয়ে একদিনেই একটি নৌকা তৈরি করতে পারেন।

তারা জানান, ঐতিহ্যবাহী ডিঙ্গি নৌকা বাজারজাত করার জন্য বাধাল হাটে নমুনা হিসেবে কয়েকটি নৌকা প্রদর্শন করা হয়। এসব নৌকার ওপর মোবাইল নম্বর লেখা থাকে, সঙ্গে নৌকারও একটি নম্বর থাকে। আগ্রহী ক্রেতারা ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে নৌকা অর্ডার দিতে পারেন।

আলতাফ হোসেন ও সোবহান শেখ জানান, প্রতি মাসে বাড়ি থেকে সরাসরি প্রায় ৬০টি নৌকা বিক্রি হচ্ছে, যার দাম আকার ও মানের ওপর ভিত্তি করে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে।

স্থানীয় এলাকার বাইরে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ, রামপাল, পোলেরহাট, দৈবজ্ঞাহাটী এবং ভাটখালী পাশাপাশি পিরোজপুর জেলার ভাইজোর ও ইন্দুরকানী থেকেও ক্রেতারা তাদের কাছ থেকে নৌকা কিনছেন।

রামপালের রফিকুল শেখ বলেন, 'আমরা মাছের খাবার দেওয়ার জন্য ঘরে নৌকাগুলো ব্যবহার করি। ফোনের মাধ্যমে অর্ডার করার প্রক্রিয়াটি খুবই সুবিধাজনক।'

আরেক ক্রেতা লাইজু শেখ মাছ ধরার জন্য তিনটি নৌকা অর্ডার করেছিলেন। তিনি বলেন, 'এটি খুবই সহজ ও সহজলভ্য।'

ছোট নৌকার এই ডিজিটাল বাজার একদিকে যেমন ক্রেতাদের কাছে সহজে নৌকা পৌঁছে দিচ্ছে অন্যদিকে কারিগরদের জন্য একটি স্থিতিশীল আয়ের উৎস তৈরি করেছে।

টেংরাখালী গ্রামের বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক জানান, আলতাফ হোসেন ও সোবহান শেখের সাফল্য অঞ্চলের অন্যান্য কারিগরদের জন্য অনুপ্রেরণা। তারাও এই মডেলে নৌকা কেনাবেচায় আগ্রহী হয়ে উঠছে।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

17h ago