বকেয়া বেতন ও কারখানা খোলার দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ

ফারদার ফ্যাশনস লিমিটেডের শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা পুনরায় চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ফারদার ফ্যাশনস লিমিটেডের শ্রমিকরা।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মোগরখালে অবস্থিত কারখানার সামনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের জুন মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। মালিকপক্ষ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি।

শ্রমিকদের ভাষ্য, 'আমাদের বলা হয়েছিল, গত মাসের বেতন শিগগির পরিশোধ করা হবে। আজ জুলাইয়ের ১২ তারিখ, এখনো কোনো বেতন পাইনি। বেতনের দাবিতে গত চারদিন আমরা আন্দোলন করে আসছি। অথচ আজ এসে দেখি কারখানায় তালা ঝুলানো, ঘোষণা এসেছে লে-অফের।'

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. ফারুক-উল-আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত চারদিন ধরে শ্রমিকরা কারখানায় কর্মবিরতি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে আসছিল। এই পরিস্থিতিতে আজ মালিকপক্ষ সাময়িকভাবে নীট ও ওভেন শাখা বন্ধ (লে-অফ) ঘোষণা করেছে। শ্রমিকরা সকালে কারখানায় এসে এই নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।'

তিনি আরও বলেন, 'একপর্যায়ে শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। পরে আমরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেই। পরে শ্রমিকরা কারখানার সামনে চলে যান।'

কারখানার কাজ বন্ধের নোটিশে লেখা রয়েছে, 'এতদ্বারা ফারদার ফ্যাশনস লিঃ-এর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের নীট ও ওভেন শাখায় বর্তমানে সরাসরি কাজের অর্ডার না থাকায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাইং হাউজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ সংগ্রহ করে শ্রমিকদের কোন প্রকারে মজুরি প্রদান করা আসছে। সামনের মাসে নীট ও ওভেন শাখায় শ্রমিকদের দিয়ে করানো মত কোন কাজের অর্ডার হাতে নেই। এ ছাড়াও শ্রমিকদের বসিয়ে রেখে পূর্ণ মজুরি প্রদান করা সম্ভব নয়। বিষয়টি মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত। তাই কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ইং এর ১২ ধারা মোতাবেক আগামী ১২ই জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সাময়িকভাবে নীট ও ওভেন শাখার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।'

'কাজ বন্ধকালীন সময় সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ইং এর ১৬ ধারার বিধান মোতাবেক লে-অফ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। কাজ বন্ধকালীন (লে-অফ) সময়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের কারখানায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেয়ার প্রয়োজন নেই। প্রকাশ থাকে যে, কারখানার সোয়েটার শাখা ও নিরাপত্তা কর্মীগণ এ লে-অফের আওতার বাইরে থাকবে।'

এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা পুনরায় চালু করার বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

1h ago