জুলাইয়ে আ. লীগের নৃশংসতা পাকিস্তানি বাহিনীকেও হার মানিয়েছে: আইন উপদেষ্টা

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মঙ্গলবার ঢাকায় আয়োজিত ‘জুলাই গণহত্যার বিচার ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: পিআইডি

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নৃশংসতা পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকেও হার মানিয়েছে। 

তিনি বলেন, আমরা ৭১ সালেও দেখিনি মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার দৃশ্য। কিন্তু জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সে কাজ করে দেখিয়েছে আওয়ামী শাসনামল।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত 'জুলাই গণহত্যার বিচার ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচারকাজে এমন অকাট্য প্রমাণ রেখে যাব, যাতে পরবর্তী সরকারগুলো বিচারব্যবস্থাকে প্রলম্বিত করতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতি আস্থা রাখুন, আমরা সঠিক সময়ে জুলাই গণহত্যার বিচার করে দেখিয়ে দেব। এই বিচার কার্যক্রমে কোনো গাফিলতি হচ্ছে না।

উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ে আমরা মাঠে যেভাবে নৃশংসতা দেখেছি, তাতে শুধু জনগণের কাছে নয়, মহান আল্লাহর কাছেও আমরা দায়বদ্ধ। আহত শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা এবং মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা, সবই মানবতাবিরোধী অপরাধ। কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশেও এমন ঘটনা ঘটেনি, যা বাংলাদেশে ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনার বিচার করবই। আমাদের চেষ্টায় ঘাটতি নেই।

অনুষ্ঠানে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, 'জুলাই বিপ্লবের নায়করা আমাদের পথ দেখাবে।' তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের নায়কদের মধ্যে শহীদ আবু সাঈদ, ইয়ামিন, মুগ্ধরা আমাদের পথ দেখিয়েছে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, তাদেরকে কেউ ভুলতে পারবে না।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিচারব্যবস্থার অপশাসনের উদাহরণ দিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, তিনি মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন আগাম জামিনের জন্য, কিন্তু বিচারক তাকে ভৎর্সনা করে বলেছিলেন, তিনি মাহমুদুর রহমানের চেহারা দেখতে চান না।

বর্তমান বিচারব্যবস্থাকে সঠিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।

আইন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, জুলাই শহীদ মুগ্ধর পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ ইয়ামিনের পিতা মহিউদ্দিন প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English
Strategies we can employ in tariff talks with the US

US tariff announcement opens new window for Bangladesh garment exports

Under the new policy, Bangladesh will face a 20 percent tariff

38m ago