বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪: এসিআই গ্রুপ চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলাকে আজীবন সম্মাননা

এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলার হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

বাংলাদেশের শিল্পখাতকে বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এ আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (এসিআই) গ্রুপের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ডিএইচএল এক্সপ্রেস বাংলাদেশ ও দ্য ডেইলি স্টারের যৌথভাবে ২৩তম বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে দেশের পাঁচ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। 

আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত আনিস উদ দৌলার জন্ম ১৯৩৭ সালে ফরিদপুরে। তার কর্মজীবনের শুরু পাকিস্তান অক্সিজেনে। সেখানে তিনি টানা ২৭ বছর কাজ করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। 

১৯৮৭ সালে তিনি ইম্পেরিয়াল কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (আইসিআই) বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) হিসেবে যোগ দেন।

১৯৯২ সালে আইসিআই বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আনিস উদ দৌলার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা হয় এসিআই। 

তার নেতৃত্বে ২৩০ কর্মী ও ৮ কোটি টাকার টার্নওভারের ছোট প্রতিষ্ঠান এসিআই এখন ১৫ হাজারের বেশি কর্মী ও ৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক আয়ের বহুমুখী ব্যবসায়ী পরিবারে পরিণত হয়েছে।

এম আনিস উদ দৌলার মূল লক্ষ্য ছিল বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা এবং উদ্যোক্তা হিসেবে অভিযোজন। 

এসিআই বাংলাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএসও ৯০০১ এবং আইএসও ১৪০০১ সার্টিফিকেশন অর্জন করে। 

ওষুধ, ভোগ্যপণ্য ও কৃষি পণ্য উৎপাদনে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এসিআই। প্রতিষ্ঠানটি আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন এবং খুচরা বিপণি চেইন 'স্বপ্ন'র মাধ্যমে আধুনিক সংগঠিত ব্যবসার পথিকৃৎ। 

আনিস উদ দৌলা ব্যবসাকে প্রায়ই একটি গাছ রোপণের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলে থাকেন, আপনার শিকড় যদি শক্তিশালী না হয়, আপনি বড় হতে পারবেন না।' 

তিনি সবসময় তরুণ উদ্যোক্তাদের সততা, গুণগত মান এবং টেকসই বাজার গঠনে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করেছেন।

বর্তমানে ৮৮ বছর বয়সী দৌলা এখনো এসিআইকে পেশাদারত্ব ও জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তার দৃঢ়তা, শৃঙ্খলা ও সততা বাংলাদেশের করপোরেট নেতৃত্বের একটি মানদণ্ড হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দায়িত্বশীলতা এবং দূরদর্শিতার ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia laid to eternal rest

Buried with state honours beside her husband Ziaur Rahman

7h ago