ধুনটে যমুনায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে স্থানীয়রা

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি: স্টার

বগুড়ার ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ি এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে হঠাৎ তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। চারটি দোকান এবং প্রায় ৬০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আতঙ্কে স্থানীয়রা তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।

গতকাল বুধবার দুপুর থেকে ভাঙন দেখা দেয়। আতঙ্কে ১০ পরিবার তাদের বাড়িঘর ও আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপ হঠাৎ বেড়ে যায়। এতে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙন দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে। গতকাল দুপুরে ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। ভাঙন যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আতঙ্কে পড়ে স্থানীয়রা বাড়িঘর ও সম্পদ দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছেন।

এদিকে ভাঙন রোধে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ও টিউব ফেলার কাজ শুরু করেছে।

শহড়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছকিনা বেগম বলেন, 'আমরা কোনো অস্থায়ী ব্যবস্থা চাই না। বালুর বস্তা দিয়ে এই ভাঙন ঠেকানো যাবে না।'

আরেক বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, 'কংক্রিটের ব্লক দিয়ে স্থায়ী বেড়িবাঁধ না দিলে শহড়াবাড়ি গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার তাদের বাড়িঘর আর আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে।'

স্থানীয় কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'অনেক দিন ধরেই এখানে ভাঙন চলছে, কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়নি। এখন ভাঙন তীব্র হলে বালুর ব্যাগ ফেলা হচ্ছে, এতে কি ভাঙন ঠেকানো সম্ভব?'

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভাঙন ঠেকাতে আমরা এরই মধ্যে এখানে সাড়ে সাত হাজার জিও ব্যাগ ও দেড় হাজার জিও-টু ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, এতে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আসবে।'

স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল হক বলেন, 'সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙনরোধে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় একটি ডিপিপি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে এখানে সিসি ব্লক দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka Customs House to remain open 24/7 over the next two days

The step has been taken to keep trade activities running after the Dhaka airport fire

1h ago