আড়াইহাজারে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ, আহত ২৪

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি ও যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ('গ' সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।
তিনি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র, টেঁটা, বল্লম ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি কবির হোসেনের সঙ্গে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ফকির জহিরুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে পুরোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুজনই এলাকায় প্রভাব ধরে রাখতে নতুন লোকজনকে দলে ভেড়াতে শুরু করেন। এ নিয়ে 'ফ্যাসিস্টের দোসরদের পুনর্বাসন চলছে' অভিযোগ তুলে উভয়পক্ষের অনুসারীরা আগেও একাধিকবার বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়ান। সম্প্রতি গ্রামের একটি হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ে। শুক্রবার বিকেলে কবির ও জহিরুলের অনুসারীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে শনিবার সকালে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ। ওই সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শুনতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ খায়ের উদ্দিন (৪২), আব্দুল মতিন (৫০), জোনায়েত মিয়া (২৫), কালু মিয়া (৩৭), খলিলুর রহমান (৪০), আল আমিন (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যরা আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় ফকির জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'হত্যা মামলার আসামিদের শেল্টার দিচ্ছেন কবিরের লোকজন। তারা মামলায় জামিন না নিয়েই এলাকায় ঘোরাফেরা করলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বাধা দেয়। এতে এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে কবিরের লোকজন। এলাকাবাসী তখন প্রতিরোধ করে।'
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কবির হোসেন বলেন, 'বিনা উসকানিতে আমার অনুসারী লোকজনের ওপর হামলা করে জহিরুলের লোকজন। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।'
Comments