‘সুন্দরবন রক্ষায় এখনই জলবায়ু অর্থায়ন প্রয়োজন’

জলবায়ু কর্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন। ছবি: স্টার

'উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা ও সুন্দরবন রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে জলবায়ু অর্থায়ন প্রয়োজন। নর্ডিক দেশগুলোকে শুধু ঋণ নয়, জলবায়ু বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ সহায়তা দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য জলবায়ু অর্থায়ন যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি জীবাশ্ম জ্বালানি পরিহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে দ্রুত ধাবিত হতে হবে।'

আজ শনিবার বাগেরহাটের মোংলার কানাইনগর নদীর তীরে জলবায়ু কর্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার। 

বক্তারা আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুজনিত উষ্ণতা, লবণাক্ততা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সুপেয় পানির সংকট মানুষের স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। একইসঙ্গে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায়ও এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন।  

মানববন্ধনে ধরার কেন্দ্রীয় নেতা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের সমন্বয়ক মো. নূর আলম শেখ বলেন, সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, জলবায়ু বিপর্যয় ও প্রকৃতি ধ্বংসের চাপ অনুভব করছে। নদীভাঙন, সিডর ও আইলার মতো ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন উপকূলের মানুষ আজও বিপর্যস্ত। নিরাপদ খাবার পানির সংকট দিন দিন বাড়ছে। জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিতের পাশাপাশি আমাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

মোংলা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণের কারণে পশুর নদী এখন প্রায় মাছশূন্য। লবণাক্ততার সহনীয় মাত্রা অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে।

জলবায়ুকর্মী মেহেদী হাসান বলেন, জলবায়ু উষ্ণতা ও উদ্বাস্তু সংকট রোধে তথাকথিত উন্নত দেশগুলোর উচিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। পাশাপাশি ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরও নিশ্চিত করা জরুরি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ফারজানা বেগম, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, জাহিদ হোসেন ব্যাপারী প্রমুখ। 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

7h ago