ঢাবিতে শেখ পরিবারের নামে থাকা ৫ স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি ডাকসুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা পাঁচটি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ডাকসুর নেতারা। এ সময় তারা 'ফ্যাসিবাদের প্রতীক ভেঙে দাও', 'এই মাটিতে ফ্যাসিবাদের স্থান নেই' ও 'সব ধরনের ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে হবে' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেন, আমরা দুটি দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। আমাদের প্রথম দাবি হলো—ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত সব বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনার নাম অবিলম্বে পরিবর্তন করা। ক্যাম্পাসে এমন পাঁচটি স্থাপনা রয়েছে এবং এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম 'শহীদ ওসমান হাদি হল' করার প্রস্তাবটি এসেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই, যারা আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া আমাদের জুলাইয়ের সহযোদ্ধাকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছেন। একইভাবে শিক্ষার্থীরা 'ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের' নাম 'বীরপ্রতীক ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম হল' করার প্রস্তাব দিয়েছে।
সাদিক কায়েম বলেন, এ দুই হলের বিষয়ে ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেবে।
এছাড়া শেখ রাসেল টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এবং সুলতানা কামাল হোস্টেলের নাম পরিবর্তনের দাবি জানান তিনি।
জুলাই অভ্যুত্থানে বিরোধিতাকারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে ডাকসু ভিপি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো রেজিস্ট্রার ভবন থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ওসমান হাদিকে হারিয়েছি। আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
সাদিক কায়েম বলেন, শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তন এবং যাদের সহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের কাছ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ আশা করছে।
বিক্ষোভ শেষে ডাকসুর নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।


Comments