স্কুলের গাফিলতিতে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারেনি ৮ শিক্ষার্থী

ঝিনাইদহের খোদা বক্স মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

প্রাতিষ্ঠানিক গাফিলতিতে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ঝিনাইদহের ৮ শিক্ষার্থী।

সদর উপজেলার খোদা বক্স মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষার ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিলেও তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করেনি বিদ্যালয়টি।

আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। এ বছর পাঁচটি বিষয়ে মোট ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোদা বক্স মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির দুটি শাখার সাদিক হাসান, তৌফিক হাসান, জান্নাতুল সিনথিয়া, তাসনিম তাবাসসুম মিথিলা ও সামিয়া ইসলামসহ ৮ শিক্ষার্থী এবারের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় নেওয়ার জন্য ফি ও নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্কুলে জমা দিয়েছিলেন।

কিন্তু তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাননি। পরে স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাদের নিবন্ধন করা হয়নি।

এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সাদিক হাসান ট্যালেন্টপুলে ও জান্নাতুল সিনথিয়া সাধারণ বৃত্তি পেয়েছিলেন।

শিক্ষার্থী তৌফিক হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমিসহ ৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফিসহ ছবি ও অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। আমরা পরীক্ষায় অংশ নিতে সব প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার জানতে পারি আমাদের নিবন্ধন হয়নি। আমরা স্কুলে এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদের বাড়ি এসে দুঃখ প্রকাশ করেছে।'

শিক্ষার্থী সাদিক হাসানের বাবা আমিনুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। সে খুব মেধাবী। এবারের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেও সে বৃত্তি পেত। আমি নিজে গিয়ে স্কুলে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য ফি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার জানতে পেরেছি, এই স্কুলের কেউই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না। এখন প্রধান শিক্ষক ক্ষমা চাইলেও তো এই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়াতে পারবে না। শিক্ষকদের গাফিলতিতে এই শিক্ষার্থীরা চরম সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো।'

এই বিষয়ে জানতে খোদা বক্স মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লিন্টুকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবো।'তবে পরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলায় এবার ৪ হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছে। আজ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে কী কারণে খোদা বক্স মাধ্যমিক বিদ্যালয় কোন পরীক্ষার্থীর নিবন্ধন করেনি সেটা জানতে চাওয়া হবে।'

Comments