মানুষ অতটা কষ্টে নেই, যতটা বিএনপি-জামায়াতের সময় ছিল: হানিফ

বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

মানুষ অতটা কষ্টে নেই, যতটা বিএনপি-জামায়াতের সময় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

আজ রোববার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, 'তারা সরকারের সমালোচনা করে। এই বিএনপি ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল, তখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়নি?'

দ্রব্যমূল্য নিয়ে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার দেখতে বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এখনো টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যাবে। আপনারা ভিডিও ফুটেজ দেখেন। তারেক রহমান এই বিষয়ে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে, এটা স্বাভাবিক। এটা কিছু করার নেই।" তখন মানুষের দিনমজুরি ছিল মাত্র ৬০ টাকা। উনি বললেন, "দিনমজুরি ৬০ টাকা ছিল সেটা ১০০ টাকা হয়ে গেছে। জিনিপত্রের দাম তো বাড়বেই!" এখন সেই দিনমজুরি ১ হাজার টাকায় পৌঁছেছে।'

'মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ তখন কষ্টে ছিল। এখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলেও মানুষ অতটা কষ্টে নেই, যতটা কষ্টে বিএনপি-জামায়াতের সময় ছিল,' বলেন তিনি।

হানিফ আরও বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারেনি। ব্যর্থতার কারণে অন্যের সফলতায় তাদের গাত্রদাহ হয়। এখন তারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির মামলা হয় তখন থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হলো তখন থেকেই আন্দোলন করছেন। আন্দোলন করে কোনো লাভ হয়নি।'

'বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন করে কোনোদিন সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। এটা বিএনপিও জানে। আর জানে বলেই এখন তারা বিদেশিদের কাছে দৌড়-ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছে,' বলেন তিনি।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'ভোটের মাধ্যমে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কার দ্বারা দেশের উপকার হয়।'

হানিফ আরও বলেন, 'অহেতুক আন্দোলনের নামে এই রাজনৈতিক খেলা খেলে মানুষকে কষ্ট দিতে চান? শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন এই দেশের গরিব-অসহায় মানুষের ওপর ছাতার মতো থাকবেন। তাদের কখনো খাদ্য কষ্ট হবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu election sees spontaneous turnout of voters

Ducsu election is being held at eight centres of the campus with nearly 40,000 registered voters and 471 candidates vying for 28 central posts.

2h ago