‘বিএনপি বুঝতে পেরেছে ললিপপ মুখে দিয়ে কেউ কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না’

‘বিএনপি বুঝতে পেরেছে ললিপপ মুখে দিয়ে কেউ কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপি বুঝতে পেরেছে ললিপপ মুখে দিয়ে কেউ কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক পুনর্মুদ্রিত ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত 'হোয়াইট পেপার অব দ্য ক্রাইসিস ইন ইস্ট পাকিস্তান' শীর্ষক শ্বেতপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'ললিপপ বা ফিডার মুখে দিয়ে কেউ কোলে করে যে ক্ষমতায় বসাবে না এটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বা বিএনপি বুঝতে পেরেছে। যারাই নির্বাচনে বাধা দেবে ভিসা নীতি তাদের সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে সেটিও অনুধাবন করতে পেরেছে। সে জন্য কর্মীদের বলেছেন আন্দোলন করতে হবে। এই উপলব্ধি ভালো।'

নির্বাচনে আসার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তারা আশা করেছিল কেউ কোলে করে তাদের ক্ষমতায় বসাবে। এটি হয়তো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবেরও উপলব্ধি ছিল। এ জন্য খুব উৎফুল্লভাব ছিল। এখন চেহারাটা আস্তে আস্তে ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে।

'বুঝতে পারছে, যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে এবং অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিরও অনেকে অংশগ্রহণ করবে। তৃণমূল বিএনপিতে ইতোমধ্যেই কয়েকজন বিএনপি নেতা জয়েন করেছেন,' বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করল সেটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না। যেমন সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেখানে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি কিন্তু ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ সেখানে ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আগামী নির্বাচনেও যদি বিএনপি না আসে; আসলে আমরা স্বাগত জানাই, আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। না আসলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

6h ago