ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের বন্ধু: কাদের

ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের বন্ধু: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু এবং চীন উন্নয়নের বন্ধু।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে পাহাড়ি ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, 'ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ১৯৭১ সালের সেই রক্তের রাখি বন্ধনে আমাদের এ সম্পর্ক। ভারতীয় সৈন্যরা এখানে রক্ত দিয়েছে, ভারতের জনগণ-সরকার আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। এ দুঃসময়ের বন্ধুদের আমরা ভুলে যেতে পারি না।'

পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলো ২১ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে কী অর্জন করেছে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, '৬৮ বছর পর আমরা সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছি। ভারত রেটিফাই করেছে, সর্বসম্মতিক্রম তাদের পার্লামেন্টে, এটা আগে হয়নি। শেখ হাসিনা, তেমন ভারতে নরেন্দ্র মোদি। এদের আমলে এটা সম্পন্ন হয়েছে। ভালো সম্পর্ক আছে বলেই আমরা বাংলাদেশের মতো আরেকটা বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় ভারতের কাছ থেকে পেয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'ভালো সম্পর্ক বলেই, দুনিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল সমস্যার সমাধান আমরা করতে পেরেছি। সবই হবে, শেখ হাসিনা গঙ্গার পানি চুক্তিও করেছেন কিন্তু যারা বড় বড় কথা বলেন, তারাই দিল্লি থেকে এসে ঢাকা এয়ারপোর্টে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন—আমি তো গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। তারা ভুলে গেছেন আর শেখ হাসিনা এই গঙ্গার চুক্তি সম্পাদন করেছেন। সম্পর্ক ভালো থাকলে, আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করা যায়।'

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক বলেন, 'চীনের সঙ্গে আমাদের উন্নয়নের পার্টনারশিপ আছে। ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু।'

পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তুলে ধরে কাদের বলেন, 'কয়েক দিন আগে জনসংহতি সমিতির প্রধান নেতা সন্তু লারমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি মিলিত হয়েছিলাম এক বৈঠকে। তাকেও আমি বলেছি, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হতে সময় লাগবে। কারণ সেখানে মূল সমস্যা হলো ভূমি। ল্যান্ড প্রবলেম, সেটেলমেন্ট প্রবলেম; সব চেয়ে জটিল হচ্ছে এই ভূমি সমস্যা। এর সমাধান অত সহজ নয়। তাছাড়া নেতারা বলুন, গত ১৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বদলে গেছে। কী অপরূপ দৃশ্যপট উন্নয়নের, যে দিকেই যাই। শুধু উন্নয়ন চোখে পড়ে।'

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu election sees spontaneous turnout of voters

Ducsu election is being held at eight centres of the campus with nearly 40,000 registered voters and 471 candidates vying for 28 central posts.

1h ago