বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে তিস্তা টোলপ্লাজায় হামলা-ভাঙচুর ও ১৪ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ

স্থানীয় বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান রাজুর নেতৃত্বে লালমনিরহাট-তিস্তা সড়কসেতুর টোল প্লাজায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাট-তিস্তা সড়কসেতুর টোল প্লাজায় হামলা, ভাঙচুর ও টোল আদায়কারীদের মারধর করে ১৪ লাখ টাকা লুটের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। 

মামলার আসামি করা হয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান রাজু (৪০) ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টোল প্লাজার পরিচালক নাজমুল আলম লালমনিরহাট সদর থানায় এ মামলা করেন।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার প্রধান আসামি মাহফুজুর রহমান রাজু উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

টোল প্লাজার পরিচালক নাজমুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বুধবার রাতে বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান রাজুসহ ৫-৭ জন তিনটি মোটরসাইকেলে তিস্তা টোল প্লাজা পাড়ি দিচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলপ্রতি ১০ টাকা করে টোল চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।'

এ সময় টোল আদায়কারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয় বলে জানান তিনি।

নাজমুল আলম আরও বলেন, 'কিছুক্ষণ পর বিএনপি নেতা রাজু ও তার সহযোগীরা দেশিয় অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে টোল প্লাজায় হামলা ও ভাঙচুর চালান। টোল কর্মচারীরা বাধা দিলে তারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাদের আহত করে এবং টোল প্লাজার ক্যাশ বাক্স ভেঙে ১৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।'

ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের সদস্য সেসময় নিষ্ক্রিয় ছিলেন এবং বিএনপি নেতা রাজু ও তার লোকজন সিসিটিভি ভাঙচুর করেন বলেও অভিযোগ টল প্লাজার পরিচালকের। 

এ ঘটনায় আহত টোল আদায়কারী ম্যানেজার সুরুজ্জামান মিয়া ও কর্মচারী জুয়েল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টোল আদায়কারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর ও টাকা লুটের কোনো ঘটনা ঘটেনি।' 

যোগাযোগ করা হলে গোকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলতাফ হোসেন বলেন, 'ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রাজুর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।'

টোল প্লাজায় দায়িত্বরত পুলিশ উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রওশন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। লুটপাট হয়েছে কিনা, বলতে পারব না।'

যোগাযোগ করা হলে ওসি মোহাম্মদ নূরনবী বলেন, 'পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। টোল আদায়কারীদের বেদম মারধর করা হয়েছে। টাকা লুটের বিষয়টি তদন্ত শেষে বলা যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Largest Islamic bank in the making

Largest Islamic bank in the making

The five banks slated for consolidation are First Security Islami Bank, Union Bank, Global Islami Bank, Social Islami Bank and Exim Bank.

11h ago