সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিল জামায়াত

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক হিসাবের নম্বর ও সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

আজ বুধবার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখায় জমা দেওয়া হয়।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম চালু হলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতসহ ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেয় তৎকালীন ইসি।

২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছর দলটি নিবন্ধন ফিরে পায়।

সেই বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এক যুগ পর গত ২৫ জুলাই ফের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় জামায়াতে ইসলামী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে জামায়াতে ইসলামীর আয় ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা। আর ব্যয় ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা। তবে ওই প্রতিবেদনে জামায়াতের ব্যাংক কোনো হিসাব নম্বর উল্লেখ ছিল না। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় ইসি সচিবালয়।

এর ধারাবাহিকতায় আজ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার দুটি বিষয়ে দলের হালনাগাদ তথ্য সম্বলিত চিঠি ইসিতে জমা দেন।

কাউন্সিল করে গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং ইসলামী ব্যাংকের দলের হিসাব পরিচালনার বিষয়টি চিঠিতে তুলে ধরেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।

চিঠিতে বলা হয়, '২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর থেকে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে পারেনি জামায়াত। প্রতিকূল অবস্থাই ব্যাংক হিসাব দিতে না পারার কারণ।'

একই সঙ্গে চিঠিতে বলা হয়, '২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ২২তম সংশোধনী যথাযথ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অনুমোদিত হয়েছে। এটাই সর্বশেষ সংশোধনী, যা গত ২৫ জুলাই জমা দেওয়া হয়েছে।'

এ বিষয়ে ইসির অতিক্তির সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্যাংক হিসাবের নম্বর ও সংশোধিত গঠনতন্ত্র গঠনতন্ত্র ইসতে জমা দিয়েছে। 

তবে গঠনতন্ত্রে কী ধরনের সংশোধনী আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

15 army officers in custody taken to tribunal amid tight security

The International Crimes Tribunal-1 is set to review the progress of two cases of enforced disappearance

1h ago