চাকসু নির্বাচন

‘প্রথমবার ভোট দিতে পারছি, খুব ভালো লাগছে’

ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা

'প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারছি, খুব ভালো লাগছে। আমাদের ২০২৩ সালে ভোট দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দিতে পারিনি। চাইব, আগামী বছরও যেন এমন ভোটের আয়োজন করা হয়।'

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে এমনটি বলছিলেন সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ফারুক হোসেন। 

৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।

নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। ক্যাম্পাসজুড়ে র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা দপ্তরের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। 

কিছু কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে মোট ৬৮৯টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে।

বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দলবেঁধে শিক্ষার্থীরা আসছেন ভোট দিতে। সময় বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়ছে। অনেকেই জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, 'আমি আগে কখনো কোনো নির্বাচনে ভোট দিইনি। এটা আমার জীবনের প্রথম ভোট। প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারছি, এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত যে আমাদের ভোটের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।'

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে প্রার্থী ৪১৫ জন (নারী প্রার্থী ৪৭ জন) এবং হল সংসদের ১৪টি পদে প্রার্থী ৪৯৩ জন।

কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ভবনে ভোটার পাঁচ হাজার ২৬৩ জন, বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে চার হাজার ৫৩৮ জন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মুহাম্মদ ইউনূস ভবনে ছয় হাজার ৬০৬ জন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে সাত হাজার ৭৩ জন এবং প্রকৌশল অনুষদে (আইটি ভবন) ভোটার চার হাজার ৩৬ জন।
 

Comments