সাগরের তলদেশের পাইপলাইন দিয়ে ক্রুড অয়েল আসছে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে

সাগরে অবস্থিত এসপিএম প্রকল্পের মুরিং। সাগরের তলদেশে স্থাপিত জ্বালানি তেলের পাইপলাইন দুটি এই মুরিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। ছবি: সংগৃহীত

মহেশখালীর ট্যাংক টার্মিনাল থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু হয়েছে সাগরের তলদেশের পাইপলাইন দিয়ে।

আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে 'সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম): উইথ ডাবল পাইপলাইন' প্রকল্পের দ্বিতীয় পাইপলাইন দিয়ে এই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) পাম্প শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্পের পরিচালক শরীফ হাসনাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আজ সকাল ৮টা থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পাম্প শুরু হয়েছে মহেশখালী প্রান্ত থেকে। পর্যায়ক্রমে প্রেসার বাড়ানো হবে। এখন যে মাত্রায় পাম্প করা হচ্ছে, তাতে চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে সম্পূর্ণ তেল পরিবহন করতে।

ইস্টার্ন রিফাইনারির কর্মকর্তারা জানান, এসপিএমের পাইপ লাইনের কমিশনিং করার জন্য গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার মেট্রিক টন অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুড অয়েল আমদানি করা হয়। মহেশখালীর ট্যাংক টার্মিনালে বিভিন্ন অপারেশনাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সাগরের তলদেশের স্থাপিত পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পাঠানো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ (দুইটি পাইপলাইন)। মহেশখালী থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি অংশে সাগরের তলদেশে স্থাপন করা হয়েছে ৯৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি পাইপলাইন। এই পাইপলাইনগুলো ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের। এই দুই পাইপলাইনের একটিতে ডিজেল ও অপরটিতে ক্রড অয়েল পরিবহন করা হচ্ছে।

এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাত হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিপিসি, বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে। প্রকল্পটির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙ্গর থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত লাইটার জাহাজের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহন কমে যাবে। এতে করে প্রতিবছর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

Comments

The Daily Star  | English

FY26 Budget: Subsidy spending to hold steady

The budget for fiscal 2025-26 is likely to be smaller than the current year’s outlay, but subsidy spending is expected to remain almost unchanged at Tk 1,15,741 crore.

8h ago