রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘ধ্বংস’

প্যট্রিয়ট উড়োজাহাজ, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক, কার্যকর ও উপযোগী ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত। ফাইল ছবি: রয়টার্স
প্যট্রিয়ট উড়োজাহাজ, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক, কার্যকর ও উপযোগী ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত। ফাইল ছবি: রয়টার্স

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা ইউক্রেনে রাতভর হামলা চালিয়ে কিনঝাল 'হাইপারসনিক' ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহারে প্যাট্রিয়ট সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।  

গতকাল মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধ্বংস নয়, রুশ হামলায় ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি ক্ষতির শিকার হলেও এটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। 

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, জ্বালানি অবকাঠামো ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর ওপর রাশিয়ার উড়োজাহাজ ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে  অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছে, যার মধ্যে প্যাট্রিয়ট অন্যতম। 

নাম না প্রকাশের শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ওয়াশিংটন ও কিয়েভ ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মেরামতের সবচেয়ে ভালো উপায় কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তিনি জানান, এ মুহূর্তে ধারণা করা হচ্ছে, কোথাও স্থানান্তর না করে ইউক্রেনেই একে মেরামত করা সম্ভব। 

কর্মকর্তা আরও জানান, আগামী কয়েকদিনে এ বিষয়ে আরও ভালো করে জানা যাবে। 

প্যট্রিয়ট উড়োজাহাজ, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক, কার্যকর ও উপযোগী ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত। এতে সাধারণত লঞ্চার, রাডার ও অন্যান্য উপকরণ সংযুক্ত থাকে। 

এর আগে, ইউক্রেন দাবি করেছিল তারা ১৮টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে ৬টি কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র । রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শৌইগু এ দাবি নাকচ করেছেন। 

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে ইউক্রেন কোন পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে পেন্টাগন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt move to hike port charges sparks concern

This will likely have a detrimental effect on the country's exports, alongside prices of imported products in domestic markets.

10h ago