স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনাকে পাত্তা দেন না কোহলি

ছবি: এএফপি

চার বছর পর আইপিএলে সেঞ্চুরি পেলেন ভারতের তারকা বিরাট কোহলি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দুর্দান্ত জয়ে ব্যাট হাতে দিলেন নেতৃত্ব। ম্যাচের পর জানালেন, তার স্ট্রাইক রেটের সমালোচকদের নিয়ে মাথা ঘামান না তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে স্বাগতিকদের দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮ উইকেটে জেতে বেঙ্গালুরু। কোহলি ওপেনিংয়ে নেমে খেলেন ঠিক ১০০ রানের আগ্রাসী ইনিংস। ৬৩ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ১২ চার ও ৪ ছক্কা। আইপিএলে সব মিলিয়ে কোহলির এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ফলে তিনি এখন যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক। সমান সংখ্যক সেঞ্চুরি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিস গেইলের।

চলমান আসরে ১৩ ম্যাচে ১৩৫.৮৫ গড়ে কোহলির সংগ্রহ ৫৩৮ রান। তিনি আছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে। তবে স্ট্রাইক রেট নিয়ে বেশ সমালোচনা শুনতে হচ্ছে তাকে। এর পেছনে কারণও রয়েছে। চলতি আইপিএলে অন্তত ৩০০ রান করা খেলোয়াড়দের মধ্যে কোহলির স্ট্রাইক রেট তৃতীয় সর্বনিম্ন। তার নিচে আছেন কেবল চেন্নাই সুপার কিংসের ডেভন কনওয়ে (১৩৪.৫৯) ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ডেভিড ওয়ার্নার (১২৮.৭৪)।

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হওয়া কোহলি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, 'অতীত পরিসংখ্যান নিয়ে আমি ভাবি না। আমি ইতোমধ্যে নিজেকে অনেক চাপের মধ্যে ফেলেছি। কখনও কখনও ইমপ্যাক্ট ইনিংস খেলার পরও আমি নিজেকে নিজে যথেষ্ট কৃতিত্ব দেই না। তো সত্যি বলতে, বাইরে থেকে কেউ কিছু বললে আমার কিছু আসে যায় না। কারণ, এটা কেবল তাদের মতামত।'

৩৪ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার যোগ করেন, 'আপনি নিজে যখন নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পড়েন, তখন আপনি বুঝতে পারেন যে কীভাবে ক্রিকেট খেলায় জিততে হয়। আর আমি এটা লম্বা সময় ধরে করে আসছি। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি যখন খেলি, তখন আমার দলকে ম্যাচ জেতাতে পারি না। পরিস্থিতির চাহিদা অনুসারে খেলা নিয়ে আমি গর্ব করি।'

২০০৮ সালে আইপিএলের যাত্রা শুরু থেকেই বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন কোহলি। প্রতিযোগিতায় আগের সেঞ্চুরিটি তিনি করেছিলেন ২০১৯ সালের এপ্রিলে। ইডেন গার্ডেন্সে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেবল ৫৮ বল খেলে আক্রমণাত্মক মেজাজে কোহলি করেছিলেন ১০০ রান।

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago