রউফের তোপে আফগানদের গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তান

ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানের স্পিনারদের ঘূর্ণিপাকে আটকে কোনোমতে দুইশ পেরিয়ে থামল পাকিস্তান। সেই স্বল্প সংগ্রহ নিয়ে লড়াইয়ে নেমে ঝাঁজ দেখালেন দলটির পেসাররা। সেখানে সবচেয়ে উজ্জ্বল থাকলেন হারিস রউফ। তার আগুনঝরা বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ল আফগানদের ব্যাটিং। বড় জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকরা।

মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় প্রথম ওয়ানডেতে ১৪২ রানে জিতেছে পাকিস্তান। ৪৭.১ ওভারে দলটি ২০১ রানে অলআউট হয়। লক্ষ্য তাড়ায় আফগানিস্তান ১৯.২ ওভার খেলে করতে পারে মোটে ৫৯ রান। ১৭তম ওভারের পর অস্বস্তি নিয়ে আহত অবসরে যান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি আর মাঠে ফেরেননি।

৬.২ ওভারে দুটি মেডেনসহ ১৮ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন রউফ। অবধারিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। ২৩ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট শিকারের অভিজ্ঞতা হয় তার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বোলিংয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত শুরু পাইয়ে দেন তিনি। ৪ ওভারে দুটি মেডেনসহ ৯ রানে ২ উইকেট পান। এছাড়া, নাসিম শাহ ও শাদাব খান একটি করে উইকেট দখল করেন।

ওয়ানডেতে আফগানদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এটি। ২০১৬ সালে শারজাহতে ৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ওই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে।

মন্থর উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ বলেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ফজলহক ফারুকির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফখর জামান। পরের ওভারে মুজিব উর রহমান এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ৩ বল খেলে রানের শূন্য রানে আউট হন তিনি।

৭ রানে ২ উইকেটের পতনের পর দলের হাল ধরেন ইমাম উল হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাদের জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি মুজিব। রিজওয়ান তার শিকার হওয়ার পর আগা সালমানকে টিকতে দেননি রশিদ খান।

ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে টানতে থাকেন ওপেনার ইমাম। পঞ্চম উইকেটে ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে ৬৯ বলে ৫০ ও ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খানের সঙ্গে ৪৮ বলে ৪০ রান যোগ করেন তিনি। মোহাম্মদ নবির বলে মিড অনে ক্যাচ নিয়ে তাকে থামান রশিদ। ইমামের ব্যাট থেকে আসে ৬১ রান। একবার জীবন পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটার ৯৪ বল মোকাবিলায় মাত্র দুটি চার মারেন।

পাকিস্তানের সংগ্রহ দুইশ ছাড়ায় নবম উইকেটে শাদাব ও নাসিমের জুটির কল্যাণে। তারা ৪৭ বলে ৩৪ রান যোগ করেন। শাদাব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ৫০ বলে। ইফতিখারের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৩০ রান। আফগানদের হয়ে মুজিব ১০ ওভারে ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট দখল করেন রশিদ ও নবি।

জবাব দিতে নেমে চতুর্থ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহকে পরপর দুই বলে সাজঘরে পাঠান শাহিন। অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহিদিকে ঝুলিতে ঢোকান নাসিম। তাদের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এরপর মঞ্চে আবির্ভূত হন রউফ। একে একে তিনি মাঠছাড়া করেন ইকরাম আলিখিল, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, নবি ও রশিদকে। ফলে শুরুর আঘাত সামলে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য হয়নি প্রতিপক্ষের। ওমরজাই আহত অবসরে যাওয়ার পর আব্দুল রহমানকে ফখরের ক্যাচ বানান শাদাব। আর মুজিবকে তুলে নিয়ে পঞ্চম শিকার ধরে ম্যাচের ইতি টানেন রউফ।

আফগানিস্তানের মাত্র দুই ব্যাটার পৌঁছান দুই অঙ্কে। গুরবাজ ৪৭ বলে ১৮ রান করেন। ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১৬ রান। দলটির ইনিংসের চার শূন্যের আরেকটি রশিদের।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago