বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর

নিউজিল্যান্ডকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ, মত ল্যাথামের

ছবি: এএফপি

বাংলাদেশের ১৬ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে টানা ১৮ ওয়ানডে হারের পর এই সংস্করণে প্রথম জয় পেল টাইগাররা। যে কায়দায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করল, তা নিঃসন্দেহে নজরকাড়া। অবিশ্বাস্য বললেও ভুল হবে না! অসাধারণ ফলের পর কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামের প্রশংসাও পেল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

শনিবার নেপিয়ারে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। সবুজ ঘাসে ঢাকা উইকেটে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে স্রেফ ৯৮ রানে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। বাংলাদেশের পেসারদের তোপে কিউইরা খেলতে পারে ৩১.৪ ওভার। শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও সৌম্য সরকার নেন তিনটি করে উইকেট।

মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশকে একটুও বিপাকে ফেলতে পারেনি প্রতিপক্ষের বোলাররা। তারা উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে না পারায় গড়ে ওঠেনি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অবশ্য ওরকম ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই করার চিন্তা আনাও তো কঠিন! স্মরণীয় জয়ের পথে ১৫.১ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান তুলে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত ৪২ বলে ৮ চারে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া, ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে ৭ চারের সাহায্যে আসে ৩৩ বলে ৩৭ রান।

ম্যাচের পর গণমাধ্যমের কাছে বাংলাদেশ দলকে কৃতিত্ব দেন ল্যাথাম। পেসারদের তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, 'আমরা স্রেফ উড়ে গেছি। ইনিংসের শুরুর দিকে আমরা যথেষ্ট চাপ সামলাতে পারিনি। আমরা কেবল একের পর এক উইকেট হারিয়ে গেছি।'

২০৯ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। ওভারপ্রতি গড়ে সাড়ে ছয়ের বেশি করে রান তোলে তারা। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক থাকবে, আগেই বুঝে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড দলনেতা ল্যাথাম, 'যখন স্কোরবোর্ডে আপনি কেবল ১০০ রানের মতো জমা করেন, তখনই আমাদের চিন্তা এসেছিল যে, বাংলাদেশ ক্রিজে এসে শট খেলতে থাকবে।'

প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় ওয়ানডে সিরিজ অবশ্য আগেই নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচে ২২০ রান করে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন উইল ইয়াং। তার দৃষ্টিতে, এদিন বাংলাদেশের পেসাররা কিউই ব্যাটারদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন, 'পিচে ভালো গতি ছিল। বল সুইং করছিল। আবার বল নিয়মিত লাফিয়েও উঠছিল। ফলে আমাদের জন্য এটা কঠিন হয়ে পড়েছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

3h ago