৩০০ একটা বিশাল সংখ্যা: ঐতিহাসিক মাইলফলকে পৌঁছে কামিন্স

ক্রিকেটের পবিত্র ভূমি লর্ডসের মাটিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়ে টেস্টে নিজের ৩০০তম উইকেট পূর্ণ করলেন তিনি। অষ্টম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন অজি অধিনায়ক।

কামিন্সের জাদুকরী এই স্পেল (৬/২৮) লর্ডসে কোনো টেস্ট অধিনায়কের সেরা বোলিং ফিগারও বটে। তার আগুনঝরা বোলিংয়েই বিধ্বস্ত হয়ে যায় প্রোটিয়ারা। তাতেই অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ২১২ রান করেই পায় ৭৪ রানের লিড। 

তার এই কীর্তি আরও স্মরণীয় হয়ে উঠেছে, কারণ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একই একাদশে খেলেছেন তিনজন ৩০০ উইকেটধারী বোলার—প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও নাথান লায়ন। এই ক্লাবে যোগ দিতে জশ হ্যাজলউডেরও আর মাত্র ২০ উইকেট বাকি। তাতে শীঘ্রই এই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে।

মাইলফলক ছোঁয়ার পর কামিন্স বলেন, 'খুব ভালো লাগছে, এখানে আমার পরিবারও আছে। তাদের সামনে এটা করতে পেরে দারুণ লাগছে। প্রতিপক্ষ ভালো ব্যাট করছিল, তাই প্রথম ইনিংসে লিড পেয়ে আমরা খুশি। যেকোনো ফাস্ট বোলারের জন্য ৩০০ একটা বিশাল সংখ্যা—মানে অনেক ইনজুরি, চোট-আঘাত পেরিয়ে টিকে থাকা, আর বিভিন্ন কন্ডিশনে ভালো খেলা।'

প্রথম দিন উইয়ান মুল্ডারকে ফিরিয়ে শুরু করেছিলেন কামিন্স। এরপর দ্বিতীয় দিনে প্রোটিয়াদের উপর ঝড় তোলেন তিনি। সকালবেলায় টেম্বা বাভুমা কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর, দুপুরের পর এক বিধ্বংসী স্পেলে (৪.১ ওভারে ৪ রানে ৪ উইকেট) একাই ভেঙে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ।

বিধ্বংসী সেই স্পেলে কাইল ভেরায়নি পড়েন এলবিডব্লিউ ফাঁদে, ইয়ানসেন ক্যাচ তোলেন মিড-অনে এবং বেডিংহাম উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। আর কাগিসো রাবাদা যখন স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন—সেই উইকেটই ছিল কামিন্সের ৩০০তম।

৩০০ উইকেটধারীদের মধ্যে স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে কামিন্স এখন চতুর্থ, তার চেয়ে এগিয়ে আছেন কেবল রাবাদা, ডেল স্টেইন ও ওয়াকার ইউনুস। এই ডব্লিউটিসি চক্রেই কামিন্স নিয়েছেন ২৩.০৩ গড়ে ৭৯ উইকেট—যা প্রমাণ করে, অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি তিনিই।

এমন দুর্দান্ত বোলিং নিয়ে কামিন্স আরও বলেন, 'বলটা একটু নরম হয়ে গেলে তেমন কিছু হচ্ছিল না, তবে মাঝে মাঝে হালকা মুভমেন্ট ছিল—যেটা আমার জন্য বেশ সহায়ক ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago