তানজিদের ফিফটিতে নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ মিলে লক্ষ্যটা রাখলেন নাগালের অনেক ভেতরে। এরপর দারুণ ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ফিফটির দেখা পেলেন তানজিদ হাসান তামিম। নেদারল্যান্ডসকে আবার উড়িয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।

সোমবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪১ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জিতেছে টাইগাররা। আগের ম্যাচে ৩৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের ব্যবধানে ডাচদের হারিয়েছিল তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৩ ওভারে স্রেফ ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। জবাবে ১৩.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তুলে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। ফলে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ তারা নিজেদের করে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২০ ওভারের ক্রিকেটে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল এই নিয়ে টানা তিনটি সিরিজ জিতল। এর আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে ও ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে একই ব্যবধানে জিতেছিল তারা।

৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করা ওপেনার তানজিদ অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। ৪০ বলের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে চারটি চার ও দুটি ছক্কা। মিড অন দিয়ে কাইল ক্লেইনকে বাউন্ডারি মেরে খেলা শেষ করে দেন তিনি। অধিনায়ক লিটন দুটি চারের সাহায্যে অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ১৮ রানে। তার সঙ্গে তানজিদের অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪৬ বলে ৬৪ রান।

তানজিদকে ফেরানোর সুযোগ অবশ্য পেয়েছিল সফরকারীরা। দশম ওভারে লং অনে সীমানার কাছে ক্যাচ তুলেছিলেন তিনি। তবে ম্যাক্স ও'ডাউড বল হাতে জমাতে ব্যর্থ হন। উল্টো চলে আসে একটি সিঙ্গেল। সেসময় তানজিদ ব্যাট করছিলেন ২৮ রানে। পরে আর তাকে থামানো যায়নি।

ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৩ বলে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১১ রানে রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যাওয়া আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন শেষমেশ আউট হন ২৩ রানে। ২১ বল মোকাবিলায় তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। ক্লেইনের বলে উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ নেন স্কট এডওয়ার্ডস।

এর আগে রিশাদ হোসেনের জায়গায় একাদশে ফিরেই বোলিংয়ে জ্বলে ওঠেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়ার পথে বল হাতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তাসকিন ও মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের বোলারদের নৈপুণ্যে কোনোমতে একশ পার করেই গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।

বাংলাদেশের পাঁচ বোলারের সবাই উইকেটের স্বাদ নেন। ম্যাচসেরা নাসুম চার ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২১ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। মোস্তাফিজ তিন ওভারে ১৮ রানে ও তাসকিন চার ওভারে ২২ রানে পান দুটি করে উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব তিন ওভারে ১ উইকেট নিতে দেন ১৬ রান। শেখ মেহেদী হাসান ৩.৩ ওভারে ১ উইকেট পান ২৪ রানের বিনিময়ে।

সফরকারীদের মাত্র তিন ব্যাটার পৌঁছাতে পারেন দুই অঙ্কের ঘরে। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে নয়ে নামা আরিয়ান দত্তের ব্যাট থেকে। ২৪ বল খেলে তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং ১৭ বলে চারটি চারের সাহায্যে করেন ২৪ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Blood Moon 2025: Dhaka witnesses total lunar eclipse

Astronomy enthusiasts and skywatchers gathered on rooftops and open spaces to witness the rare spectacle

5h ago