যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত পাকিস্তান অধিনায়ক

সুপার ফোরে আবারো অপেক্ষা করছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের লড়াই। রাজনৈতিক টানাপোড়েন, সাম্প্রতিক করমর্দন-বিতর্ক আর মাঠের লড়াই, সব মিলিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে রোববারের ম্যাচটিকে ঘিরে তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই বেড়ে গেছে। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বলে জানালেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা।
গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর তৈরি হয়েছিল বিব্রতকর পরিস্থিতি। টসের সময়, এমনকি ম্যাচ শেষেও দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে করমর্দন হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের অপসারণ দাবি করে এবং টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ার কথাও ভেবেছিল পাকিস্তান। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা মাঠে নামে এবং সুপার ফোরেও জায়গা নিশ্চিত করে।
বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের টিকিট পায় পাকিস্তান। সেখানে 'বি' গ্রুপ থেকে আসা আরও দুটি দলের সঙ্গেও খেলবে তারা। ম্যাচ শেষে সালমান বলেন, 'আমরা প্রস্তুত। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত। আমরা যদি গত কয়েক মাসের মতো ভালো ক্রিকেট খেলি, তবে যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই ভালো করব।'
আরব আমিরাতের মতো তুলনামূলক দুর্বল আক্রমণের বিপক্ষেও পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে। ফখর জামান করেছেন অর্ধশতক, কিন্তু ওপেনার সাইম আইয়ুব টানা তৃতীয়বারের মতো শূন্য রানে ফিরেছেন। ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা অধিনায়কও স্বীকার করেছেন, 'আমরা জিতেছি, তবে মিডল অর্ডারে উন্নতি প্রয়োজন। এটা একটা চিন্তার জায়গা এবং আমাদের কাজ করতে হবে।'
উল্লেখ্য, দুই দেশের সবশেষ পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছিল ২০১২-১৩ মৌসুমে, এরপর আর কোনো সিরিজ মাঠে গড়ায়নি। এর প্রধান কারণ দুই দেশের অমীমাংসিত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যু, সীমান্তে সংঘর্ষ এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের অভিযোগ। ক্রিকেটকে এখানে প্রায়শই কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এরমধ্যেই, গ্রুপপর্বে ভারতের কাছে হারের পর সুপার ফোরেই আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পাকিস্তান। যদি উভয়েই ফাইনালে পৌঁছে যায়, তবে ২৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয়বারের মতো লড়াই হতে পারে এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের।
Comments