বিসিবির শেষ সভায়ও প্রকাশ হলো না ভোটার তালিকা

BCB logo

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। আগামী ৬ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হলো বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের শেষ সভা। কিন্তু দীর্ঘ বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টার পর সভা সমাপ্ত হলেও ঘোষিত হলো না খসড়া ভোটার তালিকা।

দিনজুড়ে নাটকীয়তার পর সবচেয়ে বড় আলোচনার জন্ম দেয় ভোটার তালিকা প্রকাশ না হওয়া। এরই মধ্যে নতুন মোড় নেন বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। সোমবার রাতের শেষ প্রহরে, সময়সীমা অতিক্রম করার পরও তিনি রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমির পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নির্বাচনসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কাউন্সিলরদের নাম গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যা ৭টায় প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল ভোটার তালিকা। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে নির্ধারিত বোর্ড সভা শুরু হওয়ার আগেই জানা যায়, তালিকা অসম্পূর্ণ থাকায় সভা পিছিয়ে রাত ৯টায় শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত রাত ১১টার দিকে বৈঠক শেষ হয়, তবে তাতেও তালিকা প্রকাশ হয়নি।

মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের পর বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফ করেন। বিসিবি সভাপতি উপস্থিত ছিলেন না, জানানো হয় তিনি অসুস্থ।
বিসিবির আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাহিন এম. রহমান জানান, 'আইনজীবীর সনদ আনতে কয়েক ঘণ্টা লেগেছে। আমরা পুরো বিষয়টা বুঝে নিতে চেয়েছি, তাই বৈঠক শুরুতে দেরি হয়েছে।'

তবে কেন সময়সীমা পার হওয়ার পরও কাউন্সিলরদের আবেদন গ্রহণ করা হলো, আর কেন ভোটার তালিকা প্রকাশ হলো না, এমন নানা প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি বিসিবি। মিঠু অবশ্য জানিয়েছেন, কাট-অফ সময়ের পর যেসব আবেদন এসেছে সেগুলোর সঙ্গে সময় উল্লেখ করে নোট জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

সবশেষে জানানো হয়, বিসিবি তালিকাটি নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে, কমিশনই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। তবে এ অবস্থায় নির্বাচনসূচিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনাই বেশি।

পুরো পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে বিসিবি সভাপতির একটি চিঠি ঘিরে আইনি জটিলতা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, বেশ কিছু জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কর্তৃক গঠিত অ্যাড-হক কমিটি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়নের নির্দেশনা মানেনি।

এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সোমবার বিকেলে একটি রিট দায়ের হয়। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১৫ দিনের জন্য চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে এবং কেন এটি বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়।

তবে রাতেই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আপিলের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। ফলে আবারও পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া নতুন অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

4h ago