এশিয়া কাপ ২০২৫

বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। তবে উইকেটের বিচারে একেবারে সহজও ছিল না। প্রয়োজন ছিল বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যাটিং করা। সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু ব্যাটার সবাই চেষ্টা করলেন ছক্কা মেরে কাজটা শেষ করতে। তাতে যা হওয়ার তাই হলো। দলের কোনো ব্যাটারই দায়িত্ব নিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ১১ রানে হার মানতেই হলো বাংলাদেশকে। 

অথচ বল হাতে কি দারুণ সূচনাই না করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই সূচনা আর থাকেনি বেশ কিছু ক্যাচ মিসে। শূন্য রানে জীবন পাওয়া মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদিরা খেলেন কার্যকরী ইনিংস। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় পাকিস্তান। আর সেই পুঁজি যথেষ্ট হয়ে টাইগারদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন শামিম। তবে তিনিও চাহিদা মেটাতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে সাইফের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের হয়ে দারুণ বোলিং করেন শাহিন আফ্রিদি। ১৭ রানের খরচায় নেন ৩টি উইকেট। ৩৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন হারিস রউফ। ব্যাটিংয়ে না পারলেও ১৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন সাইম আইয়ুব। 

এই জয়ে ফাইনালের টিকিট পেল পাকিস্তান। তাতে এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুইদল। টানা দুই জয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারত। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (ফারহান ৪, ফখর ১৩, সাইম ০, সালমান ১৯, তালাত ৩, মোহাম্মদ হারিস ৩১, শাহিন ১৯, নাওয়াজ ২৫, ফাহিম ১৪*, হারিস রউফ ৩*; তাসকিন ৩/২৮, মেহেদী ২/২৮, তানজিম ০/২৮, মোস্তাফিজ ১/৩৩, রিশাদ ২/১৮)। 

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (সাইফ ১৮, ইমন ০, তাওহিদ ৫, মেহেদী ১১, সোহান ১৬, শামিম ৩০, জাকের ৫, তানজিম ১০, রিশাদ ১৬*, তাসকিন ৪, মোস্তাফিজ ৬*; শাহিন ৩/১৭, ফাহিম ০/১৮, রউফ ৩/৩৩, আবরার ০/২৩, নাওয়াজ ১/১৪, সাইব ২/১৬)

ফলাফল: পাকিস্তান ১১ রানে জয়ী। 

হারিস রউফের বলে বোল্ড তানজিম-তাসকিন

পরিচয়টা বোলার হলেও ব্যাটিং ভালোই পারেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে প্রয়োজনে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারলেন না। হারিস রউফের দারুণ স্লোয়ার অফ-কাটারে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। ১১ বলে ১০ রান করেছেন তানজিম। 

একই ওভারে তাসকিন আহমেদকেও বোল্ড করে দেন রউফ। মিডল ও লেগ স্টাম্পের ওপর ব্যাক অব লেংথ বলে সরে গিয়ে জোরে শট খেলতে চাইলেন তাসকিন। কিন্তু বলের গতি সামলাতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান। ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১০৩ রান। রিশাদ ও মোস্তাফিজ দুইজনই ১ রানে ব্যাটিং করছেন। 

ফিরলেন শামিমও, চরম বিপদে বাংলাদেশ

শাহিন আফ্রিদির ছিল শেষ ওভার। আর শেষ ওভারে বাংলাদেশের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটার শামিম হোসেনকে ফেরালেন। অবশ্য এক অর্থে উইকেট বিলিয়ে দেওয়াও বলা যায়। অনেকটা সুইস হিটের মতো ছিল। বল করার আগেই এই ব্যাটার ডানহাতি হয়ে শাহিনের ব্যাক অফ হ্যান্ড স্লোয়ার বলে বিভ্রান্ত হলেন। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন সাজঘরে। ৩০ বলে ২টি ছক্কায় করেন ২৫ রান। 

১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৯৭ রান। তানজিম ১০ ও রিশাদ ০ রানে ব্যাটিং করছেন। 

ফের ব্যর্থ জাকের

এশিয়া কাপ একেবারেই ভালো যায়নি জাকের আলীর। সেই ব্যর্থতা ধারাবাহিকতা রইল মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও। ঠিক নুরুল হাসান সোহানের মতোই। লেগ স্ট্যাম্পের পেছনে দিকে সরে গিয়ে জায়গা করে অফস্টাম্পের বাইরে বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লংঅফে। নাওয়াজ ধরলেন আরও একটি ক্যাচ। ৯ বলে ৫ রানে শেষ অধিনায়কের ইনিংস।

১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৭৩ রান। শামিম ১৭ ও তানজিম ০ রানে ব্যাটিং করছেন।

ছক্কার চেষ্টায় ফিরলেন সোহানও

নিয়মিত উইকেট হারালেও ইনিংস বিল্ড না করে ছক্কা মারার চেষ্টায় বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাতে আরও একটি উইকেট হারালো টাইগাররা। এবার ফিরলেন নুরুল হাসান সোহান। লেগ স্টাম্পের বাইরে পিছিয়ে জায়গা করে অফ স্টাম্পের বাইরে টস-আপ করা বলে লফটেড ড্রাইভ খেলে লং-অফে দাঁড়ানো ফিল্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন সোহান। ২১ বলে একটি ছক্কায় ১৬ রান করেছেন তিনি।

১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৬৪ রান। জাকের আলী ১ ও শামিম হোসেন ১২ রানে ব্যাটিং করছেন। 

নাওয়াজের শিকার শেখ মেহেদী

সাইফ হাসানের বিদায়ের পর প্রয়োজন ছিল দেখে শুনে ইনিংস বিল্ড করা। কিন্তু অহেতুক চড়াও হয়ে খেলার চেষ্টা করছিলেন শেখ মেহেদী। তার খেসারত দিলেন। মোহাম্মদ নাওয়াজের লেগ স্টাম্পে সামান্য ফ্লাইট দেওয়া বলে এগিয়ে এসে ইনসাইড-আউট খেলতে চাইলেন মেহেদী। এক্সট্রা কভারে সহজ ক্যাচ দিয়ে এলেন হাসান তালাতের হাতে। ১০ বলে ১১ রানে শেষ হয় মেহেদীর ইনিংস।

৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৪ রান। সোহান ১০ ও শামিম ০ রানে ব্যাটিং করছেন। 

সাইফের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ

মিডল ও লেগ স্টাম্পের ওপর লেংথে বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে ছিলেন সাইফ, কিন্তু বল মাটিতে পরে একটু থেমে গেলে আগেই শট খেলে ফেলেন। টপএজ হয়ে চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো সাইম আইয়ুবের দিকে, সহজে ক্যাচ ধরে নিলেন তিনি। বড় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১৫ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৮ রান করেন সাইফ। 

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৬ রান। শেখ মেহেদী ৬ ও নুরুল হাসান সোহান ৭ রানে ব্যাটিং করছেন।

ইমনের পর ফিরলেন তাওহিদও

আগের বলেই রানআউট হতে হতে বেঁচেছেন সাইফ হাসান। তবে পরের বলেই উইকেট বিলিয়ে এলেন তাওহিদ হৃদয়। শাহিন শাহর মিডল ও অফ স্টাম্পের ওপর খানিকটা ফুলার বলে হঠাৎই আগ্রাসী হলেন এই ব্যাটার। বল বাইরের এজে লেগে উঠে যায় আকাশে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে দাড়িয়ে নিখুঁতভাবে ক্যাচটি ধরেন সাইম আইয়ুব। ১০ বলে ৫ রান করেন তাওহিদ।

৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৯ রান। সাইফ ১৮ ও শেখ মেহেদী ৬ রানে ব্যাটিং করছেন। 

শুরুতেই ফিরলেন ইমন

শুরুতেই উইকেট হারালো বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদি মিডল স্টাম্পে শর্ট অব লেংথে শরীর টার্গেট করা বলে পুল শট খেলতে গিয়ে পারভেজ হোসেন ইমন। তবে আকাশে তুলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার-লেগে মোহাম্মদ নওয়াজ দারুণভাবে ক্যাচ ধরলেন। শূন্য রানে ফিরতে হলো ইমনকে। আবারও প্রথম ওভারেই আঘাত হানলেন শাহিন।

প্রথম ওভারে ১ উইকেটে ১ রান করেছে বাংলাদেশ। সাইফ ১ ও তাওহিদ হৃদয় ০ রানে ব্যাটিং করছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (ফারহান ৪, ফখর ১৩, সাইম ০, সালমান ১৯, তালাত ৩, মোহাম্মদ হারিস ৩১, শাহিন ১৯, নাওয়াজ ২৫, ফাহিম ১৪*, হারিস রউফ ৩*; তাসকিন ৩/২৮, মেহেদী ২/২৮, তানজিম ০/২৮, মোস্তাফিজ ১/৩৩, রিশাদ ২/১৮)। 

বাংলাদেশকে ১৩৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

ভয়াবহ সূচনার পর শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে পাকিস্তান। দারুণ কিছু ক্যাচ ধরলেও কিছু সহজ ক্যাচ মিস করেছেন টাইগাররা। অন্যথায় এক পর্যায়ে পাকিস্তানকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করেছে পাকিস্তান। অর্থাৎ ফাইনালের টিকিট পেতে ১৩৬ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ ১৪ ও হারিফ রউফ ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। 

বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ। তবে রিশাদ হোসেন ২টি শিকার করেছেন মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে। এছাড়া ২৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসানও। অপর উইকেটটি মোস্তাফিজুর রহমানের।

এবার ভুল করেননি ইমন, ফিরলেন নাওয়াজ

এর আগে সহজ ক্যাচ ছেড়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তবে এবার ধরলেন বেশ কঠিন এক ক্যাচ। তাতে ফিরলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরে খানিকটা ফুলার লেন্থের বল  আকাশে উঠিয়ে দেন তিনি। এক্সট্রা কভারে পেছনের দিকে গিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন ইমন। ১৫ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ রান করেন নাওয়াজ।

১৯ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৪ রান। ফাহিম আশরাফ ৪ ও হারিস সউফ ৩ রানে ব্যাটিং করছেন। 

হারিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মেহেদী

৭১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ নাওয়াজকে নিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন মোহাম্মদ হারিস। ২৪ বলে ৩৮ রানের জুটিও গড়েছিলেন। তবে এই জুটি ভেঙেছেন শেখ মেহেদী হাসান। স্টাম্পের ওপর দ্রুত বল করেছিলেন। হারিস সরে গিয়ে লং-অনে মারতে গেলে মিস টাইমিংয়ে সোজা চলে যায় বোলারের হাতে। ২৩ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ রান করেন হারিস।

১৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৪ রান। নাওয়াজ ১৯ ও ফাহিম আশরাফ ৩ রানে ব্যাটিং করছেন। 

নাওয়াজের ক্যাচ ফেললেন ইমন

তাসকিন আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরে ব্যাক অব লেংথ বলে নওয়াজ এগিয়ে এসে ঝড়ের মতো মেরে পাঠালেন সুইপার কভারে। কিন্তু সহজ ক্যাচ লুফে নিতে পারলেন না ইমন। এরপর বল গড়িয়ে চলে গেল সীমানার বাইরে! এ সময় ৮ রানে ছিলেন নাওয়াজ। 

শেষ পর্যন্ত তাসকিনের বলে ফিরলেন শাহিন

অবশেষে ফেরানো গেলো শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। রিশাদ হোসেনের করা দ্বাদশ ওভারে তিনবার ফিরতে পারতেন। তবে জুসি ফুল টস উঠিয়ে দিলেন আকাশে। মিড উইকেট অঞ্চলে গিয়ে সেই ক্যাচ ধরেন জাকের আলী। ১৩ বলে ২টি ছক্কায় ১৯ রান করেন শাহিন। 

১৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৭৫ রান। হারিস ১২ ও নাওয়াজ ৪ রানে ব্যাটিং করছেন।   

রিশাদের এক ওভারে 'তিন জীবন' শাহিনের

দুর্ভাগ্য রিশাদ হোসেনের। তার প্রথম বলেই ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। এরপর পঞ্চম বলে মিস টাইমিংয়ে আকাশে তুলেও বেঁচে যান লংঅনে। এরমাঝে একবার এলডাব্লিউ থেকেও বেঁচে যান আম্পায়ার্স কলের কারণে। 

১২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৫ রান। হারিস ১১ ও শাহিন আফ্রিদি ৪ রানে ব্যাটিং করছেন। 

রিভিউ নিয়ে সালমানকে ফেরালেন মোস্তাফিজ

আরও একটি উইকেট হারালো পাকিস্তান। মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যাক অব লেংথের কাটার, দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে ব্যাট চালিয়ে ছিলেন সালমান। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায় বল। সামান্য শব্দ শোনা গেলেও আম্পায়ার আউট দেননি। পরে রিভিউ নিলে দেখা আল্ট্রা-এজে স্পষ্ট স্পাইক ধরা পড়ে। ২৩ বলে ১৯ রান নিয়ে বিদায় নিলেন পাক অধিনায়ক। 

১১ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫১ রান। হারিস ১০ ও শাহিন আফ্রিদি ১ রানে ব্যাটিং করছেন। 

চতুর্থ উইকেটেও রিশাদ

চতুর্থ উইকেটও সেই রিশাদ। ম্যাচে পাকিস্তানের সবক’টি আউটের সঙ্গেই তিনি সরাসরি জড়িত। অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট ও ওয়াইড বল করেছিলেন তিনি, হোসেন তালাত কাট করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন। ৭ বলে ৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

৯ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৭ রান। সালমান আগা ১৪ ও মোহাম্মদ হারিস ০ রানে ব্যাটিং করছেন। 

এবার ফখরকে তুলে নিলেন রিশাদ

এবার বল পাকিস্তানের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিলেন রিশাদ হোসেন! আগের দুটি ক্যাচই ধরেছিলেন তিনি। এবার পেলেন ফখর জামানের উইকেট। তার খানিকটা ভাসানো লেগ-স্পিন, ফুলার লেংথে মিডল ও অফের ওপর ফেললেন। ফখর সরে গিয়ে ইনসাইড-আউট খেলে আকাশে তুলে মারতে গেলেন, কিন্তু লফটেড ড্রাইভে সরাসরি গেল লং-অফে দাঁড়ানো তানজিম সাকিবের হাতে। ২০ বলে ১৩ রান করেছেন ফখর।

৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯ রান। সালমান আগা ১২ ও হাসান তালাত ০ রানে ব্যাটিং করছেন। 

পাওয়ারপ্লেতে পাকিস্তানের ২৭ রান

বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুবিধা করে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারিয়ে ২৭ রান তুলেছে দলটি। তবে এক প্রান্ত আগলে টিকে আছেন ফখর জামান। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন অধিনায়ক সালমান আগা।

আরও একটি শূন্য আইয়ুবের

এই এশিয়া কাপে নিজের চতুর্থ ডাক পেলেন সাইম আইয়ুব। শেখ মেহেদী হাসানের করা অফ স্টাম্পের বাইরে সামান্য ফ্লাইট দেওয়া বলে লোভ সামলাতে পারেনিনি এই ওপেনার। এগিয়ে এসে মিড-অন-এর উপর দিয়ে তুলে মারতে চাইলেন, কিন্তু ঠিকমতো ব্যাটে বলে না হওয়ায় সহজ ক্যাচ গেল রিশাদের হাতে। শুরুতেই পাকিস্তানকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। 

দুই ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫ রান। ফখর জামান ১ ও সালমান আগা ০ রানে ব্যাটিং করছেন। 

ফারহানকে ফেরালেন তাসকিন

প্রথম ওভারেই আঘাত হানলেন তাসকিন আহমেদ। ফর্মে থাকা ওপেনার সাহেবজাদা ফারহানকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুলার লেংথে বল করেছিলেন এই পেসার। ফারহান শক্ত হাতে শট খেলতে গিয়ে বলটা ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে উড়িয়ে দিলেন। সেখানে দারুণ ক্যাচ ধরেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের জন্য একদম নিখুঁত সূচনা। ৪ বলে ৪ রান করেন ফারহান।

প্রথম ওভার শেষে ১ উইকেটে ৪ রান করেছে পাকিস্তান। ফখর জামান ও সাইম আইয়ুব কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

লিটন না থাকলেও আশাবাদী বাংলাদেশের সমর্থকরা

পাকিস্তান একাদশ

সাহেবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, সালমান আগা (অধিনায়ক), হোসেন তালাত, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ। 

অপরিবর্তিত পাকিস্তান দল

বাংলাদেশ দলে তিনটি পরিবর্তন এলেও কোনো বদল আসেনি পাকিস্তানের একাদশে। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা দলের উপরই আস্থা রেখেছে পাকিস্তান দল। 

বাংলাদেশ একাদশ

পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক (অধিনায়ক), শামিম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হোসেন সোহান, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশের একাদশে তিন পরিবর্তন

মহা গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ দল। অফফর্মে থাকা তানজিদ হাসান তামিমকে বাদ দিয়েছে তারা। তার জায়গায় ঢুকেছেন নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের জায়গায় এসেছেন অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের জায়গায় ঢুকেছেন তাসকিন আহমেদ। 

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত সেমি-ফাইনালে টস জিতে নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাকের আলী। যথারীতি বেছে নিয়েছেন ফিল্ডিং। অর্থাৎ পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য টস জিতলে ব্যাটিং বেছে নিত পাকিস্তানও।

আজও নেই লিটন, টস করতে এসেছেন জাকের

শেষ পর্যন্ত খেলতেই পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। ভারত ম্যাচের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও তাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তার পরিবর্তে আজও টস করতে এসেছেন জাকের আলী। আগের দিন ভারতের বিপক্ষেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।

ওয়ার্মআপে গ্লাভস হাতে জাকের, লিটন কি খেলছেন?

টিম বাস থেকে মাঠে প্রবেশের সময় অধিনায়ক লিটন দাসের হাতে দেখা গেল আইসব্যাগ। মাঠে ঢুকেই অবশ্যই উইকেটে পাশে গেলেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রধান সহকারি কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। বাকিরা ওয়ার্মআপ শুরু করলেও লিটন দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। 

আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া জাকের আলি অনিক গ্লাভস হাতে এদিনও নিজেকে প্রস্তুত করছেন। এই ম্যাচেও যে তিনি কিপিং করছেন তাতে অনেকটা পরিস্কার। আগের দিন জাকের জানিয়েছিলেন লিটনের জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তারা। খেলা শুরুর ঘন্টা খানেক আগেও লিটনের ওয়ার্মআপ না করাটা বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক আভাস। 

ভার্চুয়াল সেমিফাইনালে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলে চতুর্থবারের মতন এশিয়া কাপের ফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে একাদশে আসতে পারে একাধিক বদল। তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসানদের সম্ভাবনা আছে একাদশে আসার।  

অলিখিত ফাইনালে মুখোমুখি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

দুই দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে। দুই দলই হেরেছে ভারতের বিপক্ষে। আবার দুই দলের জয়ই এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তাই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার লড়াইটি তৈরি হয়েছে অলিখিত ফাইনালে। এই ম্যাচের জয়ী দলই শিরোপা লড়াইয়ে আগামী রোববার মুখোমুখি হবে ভারতের বিপক্ষে। 

Comments

The Daily Star  | English
The Costs Of Autonomy Loss of Central Bank

Bangladesh Bank’s lost autonomy has a hefty price

Economists blame rising bad debt, soaring prices and illicit fund flows on central bank’s waning independence

13h ago