ব্রিসবেনেও ইংল্যান্ডকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া
গাস অ্যাটকিনসনের বল পুল করে ছক্কায় গ্যালারিতে পাঠালেন স্টিভেন স্মিথ। ম্যাচ জেতার কাজটা সেরে একটা গর্জন দিলেন অজি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ছোট্ট রান তাড়া এর আগের ওভারে জোফরা আর্চার চোটপাট করার পর তাকেও চার-ছক্কায় শান্ত করেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড অবশ্য নেতিয়ে পড়েছিল বেশ আগেই। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও লড়াই জমাতে পারেনি তারা।
আগের দিনই ম্যচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিনে উইল জ্যাকস-বেন স্টোকস গড়েন প্রতিরোধ। তবে এই দুজনকে আলগা করে ইংল্যান্ডকে আগাতে দেননি মাইকেল নেসার। মামুলি লক্ষ্যে নেমে কাজ সারতে একদম বেগ পেতে হয়নি অজিদের।
রোববার ব্রিসবেনের গ্যাবায় অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট অস্ট্রেলিয়া জিতে নিয়েছে ৮ উইকেট। ৬৫ রানের লক্ষ্য পেরুতে স্রেফ ১০ ওভার লেগেছে তাদের। এর আগে প্রথম টেস্টেও স্বাগতিকরা জিতেছিল একই ব্যবধানে।
রান তাড়ায় ট্রেভিস হেড ২২ বলে ২২ করে ফেরার পর ৬ বলে ৩ করে আউট হয়ে যান মারনাশ লাবুশানে, দুজনকেই আউট করেন অ্যাটকিনসন। স্মিথ ৯ বলের উপস্থিতিতে ২ চার, ২ ছক্কায় ২৩ করে অপরাজিত থেকে দলকে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে মাঠ ছাড়েন।
গোলাপি বলের এই টেস্টে শুরুতে আলো ছড়ান মিচেল স্টার্ক। স্টার্কের তোপ সামলে জো রুটের সেঞ্চুরিতে ৩৩৪ তুলে ইংল্যান্ড। ৭৫ রানে ৬ উইকেট নেন স্টার্ক। জবাব দিতে নেমে পাঁচ ফিফটিতে ৫১১ রান তুলে অজিরা। যার মধ্যে ৭৭ করে সবচেয়ে বড় অবদান বল হাতে ঝলক দেখানো স্টার্কেরই।
বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের চেপে ধরেন নেসার। অধিনায়ক স্টোকস ছাড়া আর কেউ ফিফটিও করতে পারেননি, ইংল্যান্ড আটকে যায় ২৪১ রানে। ৪২ রানে ৫ উইকেট নেন নেসার।
আগের দিনের ৬ উইকেটে ১৩৪ নিয়ে নেমে সকালের পুরো সময় পার করে দেন স্টোকস-জ্যাকস। দুজনের জুটি চলে গিয়েছিলো শতরানের কাছে। মনে হচ্ছিলো লড়াই বুঝিয়ে জমতে চলেছে। তবে অসময়ে নেসারের বলে কাটা পড়েন ৯২ বলে ৪১ করা জ্যাকস। মিডিয়াম পেসারের বলে স্লিপে জ্যাকসের অবিশ্বাস্য ক্যাচ মুঠোয় জমিয়ে ব্রেক থ্রো পাইয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন স্মিথ। প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ঝান্ডা উঁচুতে তুলে ধরে গর্ব নিয়ে শেষেও মাঠ ছেড়েছেন তিনি।


Comments