‘আমি তার মতো বল সুইং করতে চেয়েছি’: স্টার্ককে আদর্শ মানছেন আফ্রিদি
বিশ্বসেরা বাঁহাতি পেসারদের তালিকা করতে গেলে মিচেল স্টার্কের নামটি প্রথম সারিতেই আসে। তার বিধ্বংসী সুইং, দারুণ গতি আর বড় ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স, সব মিলিয়ে আধুনিক ক্রিকেটের এক অনন্য প্রতীক তিনি। সেই স্টার্কই যে পাকিস্তানের পেস সেনসেশন শাহীন শাহ আফ্রিদির অনুপ্রেরণা, তা জানালেন নিজেই।
স্টার্ক ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে দাপট দেখিয়ে আসছেন। সম্প্রতি তিনি বাঁহাতি পেসার হিসেবে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়ে ছাড়িয়ে গেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামকেও। ক্রিকেট বিশ্বে তিনি এখন এক বিশাল মানদণ্ড।
আফ্রিদি যদিও এখনও স্টার্ক বা আকরামের স্তরে পৌঁছাতে অনেকটা পথ বাকি আছে বলে মনে করেন, তবে স্বীকার করলেন এই দুই বাঁহাতি কিংবদন্তিই তার ক্যারিয়ারে বড় ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্টার্কের ঐতিহাসিক পারফরম্যান্স তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
স্টার্ক সে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের একজন ছিলেন এবং অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ে রেখেছিলেন অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা। আফ্রিদি জানান, তিনি তখন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৬ দলের সঙ্গে ভ্রমণে ছিলেন এবং স্টার্কের প্রতিটি স্পেল মন দিয়ে দেখতেন।
'তিনি একজন কিংবদন্তি,' অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে নিজের প্রথম ম্যাচের আগে স্টার্ককে মূল্যায়ন করেন আফ্রিদি।
'স্টার্কি যখন ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলছিলেন, আমি তখন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। ওভাবে বল সুইং করানোর চেষ্টা করতাম তার মতো করে। পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই তিনি ফুল–লেন্থে বল করলেন, আর সাফল্যও পেলেন দারুণ।'
চলমান অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও স্টার্ক অসাধারণ ফর্মে আছেন, ৩৫ বছর বয়সী এই পেসার নিয়েছেন ১৮ উইকেট, পেয়েছেন দুটি ম্যাচসেরার পুরস্কার, আর অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছেন ২-০ লিড।
স্টার্ককে দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করছেন আফ্রিদি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা হলে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন বলেও জানান।
'শেষবার কথা বলার সময় তাকে বলেছিলাম, আমি ওকে ২০১৫ সালে দেখেছি, আর সেই কারণেই ব্যাটারদের ফুলার বল করি। আমি বলতেই পারি, তিনি যেকোনো তরুণ পেসারের আদর্শ… বহু বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলারদের একজন তিনি।,' বললেন আফ্রিদি।


Comments