বাংলাদেশে এবার আর আসছে না মেসির আর্জেন্টিনা

ছবি: এএফপি

আগামী মাসে প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসার একটা আলাপ ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার। তাদের আনতে প্রাথমিক কাজও এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে মাঠ সংকটের কারণে মহা পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন, এবার আর আসছে না লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।

চলতি বছরের শুরুতে আর্জেন্টিনার বাংলাদেশে আসার খবর দিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। আগামী ১২ থেকে ২০ জুন ফিফা উইন্ডোতে ঢাকায় একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা ছিল মেসিদের।  আর্জেন্টিনাকে আনতে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও চুক্তি করে ফেলেছিল বাফুফে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় এই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, 'যখন স্পন্সরদের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছিল, তখন আমি বলেছিলাম আমার একটা সন্দেহ ছিল মাঠ তৈরি হবে কিনা। কারণ মাঠ তো আমার একটাই। আমি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিলাম যে ৫ জুনের মধ্যে কি আমাকে দিতে পারবেন (মাঠ)? তখন তারা বলল এই বছর দিতে পারব না, সামনের বছর হয়ে যাবে (কাজ শেষ হতে)। এই চিঠি নিয়ে আমি স্পন্সরের সঙ্গে দেখা করলাম যে আমি কি করব? তখন তারা বলল, "উপায় নাই"। এরপর এই রোজার মধ্যেই আর্জেন্টিনাকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি।'

মেসির নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো গত ডিসেম্বরে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। দলটির বিপুল সমর্থনের জোয়ার তৈরি হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশের সমর্থকদের নিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিল। এই বাস্তবতায় স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও মাঠ সংকটে তা আর আলো মুখ দেখছে না। আগামীতে মেসিদের আনা যাবে কিনা নিশ্চিত করে আর বলতে পারেননি সালাউদ্দিন, 'এটা নির্ভর করে স্পন্সরের উপর। এবার স্পন্সরের একটা ক্রেজ ছিল যে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, মেসিকে নিয়ে আসলে...। এটা তো এবার হলো না। ভবিষ্যতের কথা তো আমি নিশ্চিত করে বলতে পারব না।'

মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা অবশ্য বাংলাদেশে খেলে গেছে সেই ২০১১ সালে। সালাউদ্দিনই ছিলেন তখন বাফুফে সভাপতি। নাইজেরিয়ার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে গিয়েছিলেন মেসিরা। সম্ভাবনা থাকলেও  বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে আর বাংলাদেশে আসা হলো না এই মহাতারকার।

Comments

The Daily Star  | English

Army chief reaffirms Bangladesh’s commitment to UN peacekeeping

"As Bangladesh's senior-most peacekeeper, I feel proud and honoured to be here today"

29m ago