রিয়ালের জন্য জীবন দিয়ে দেবেন এমবাপে

ছবি: এএফপি

রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পরে টানেলের সিঁড়ি ভেঙে কিলিয়ান এমবাপে যখন মাঠে ঢুকলেন, তখন তার মুখে ছিল স্মিত হাসি। তাকে দেখেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জড়ো হওয়া ৮০ হাজার দর্শক গর্জন করে উঠলেন। 'এমবাপে, এমবাপে' স্লোগানে প্রকম্পিত হলো গোটা স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তারকাও তাদের অভিবাদনের জবাব দিলেন হাত নেড়ে। পরে প্রতিশ্রুতি দিলেন, রিয়াল মাদ্রিদের জন্য জীবন দিয়ে খেলবেন তিনি।

মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এমবাপে। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। এর আগে তার মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার গায়ে জড়াবেন ৯ নম্বর জার্সি। গত মাসেই অনেক টানাপোড়েনের পর তার রিয়ালের ডেরায় যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে তাকে দলে টানার কথা জানিয়েছিল লস ব্লাঙ্কোরা।

চুক্তি সম্পন্নের পর কানায় কানায় পূর্ণ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে এমবাপেকে পরিচয় করিয়ে দেয় রিয়াল। তখন সঙ্গে ছিলেন তার পিতা-মাতা, রিয়াল ও ফ্রান্সের কিংবদন্তি সাবেক ফুটবলার জিনেদিন জিদান ও রিয়ালের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।

ভক্ত-সমর্থকদের মুখে নিজের নাম শুনে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এমবাপে। এক পর্যায়ে বর্তমান লা লিগা ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ীদের ব্যাজে আঁকেন চুমু। রিয়ালে যোগ দেওয়ার অনুভূতি এভাবে প্রকাশ করেন তিনি, 'অনেক বছর ধরে আমি রিয়ালের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছি। আর আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হলো। আমি ভীষণ খুশি একটি ছেলে। এই ক্লাবের জন্য আমি জীবন দিয়ে দেব।'

সেই ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত রাশিয়া বিশ্বকাপের পর থেকেই ছিল গুঞ্জন। তবে প্রতি মৌসুমেই আলোচনার জোয়ার উঠলেও পিএসজিতেই থেকে গিয়েছিলেন এমবাপে। অবশেষে ছয় বছর পর রিয়ালে নাম লিখিয়েছেন তিনি। দুই বছর আগেও তাদের সঙ্গে চুক্তি করার খুব কাছে ছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইউটার্ন নিয়ে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন এমবাপে। এবারও তাকে ধরে রাখতে মরিয়া ছিল তার স্বদেশি ক্লাবটি। তবে এই দফায় আর মত বদল করেননি তিনি।

এমবাপেকে পেয়ে ভীষণ খুশি তার নতুন ক্লাবের সভাপতি পেরেজ বলেন, 'একজন ব্যতিক্রমী খেলোয়াড় যে আমাদেরকে জয়ের ধারা বজায় রাখতে সাহায্য করতে এসেছে, এমন একজন খেলোয়াড় যে আজ তার জীবনের স্বপ্ন পূরণ করল। তোমার ঘরে তোমাকে স্বাগতম।'

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago