জর্ডানে পাওয়া শিক্ষা যে কাজে লাগাতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক

ছবি: স্টার

জর্ডানের মাটিতে ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক সিরিজের ফল আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারকে। তিনি মনে করেন, এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বকে সামনে রেখে ওই ম্যাচগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন তারা।

আম্মানে গত ৩১ মে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। এরপর ৩ জুন একই ভেন্যুতে দুইবার পিছিয়ে পড়েও স্বাগতিক জর্ডানকে ২-২ গোলে রুখে দেয় তারা। শক্তিশালী প্রতিপক্ষদের বিপরীতে পিটার বাটলারের শিষ্যদের এমন ফল ভীষণ আশা জাগানিয়া। কারণ, ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৩৩ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের চেয়ে ইন্দোনেশিয়া ৩৯ ধাপ ও জর্ডান ৫৯ ধাপ এগিয়ে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে ফিরে আফঈদা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, জর্ডানে পাওয়া শিক্ষা এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে কাজে লাগাতে চান, 'র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে আমরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা মূল্যবান। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দলগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ আমরা খুব কমই পাই। এই দলগুলো কীভাবে খেলে এবং আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে তাদের বিপক্ষে আমাদের কীভাবে খেলতে হবে তা এই দুটি ম্যাচ থেকে আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি।'

জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার খেলোয়াড়রা শারীরিকভাবে এগিয়ে থাকলেও নিজেদের হাল না ছাড়ার মানসিকতার প্রশংসা করেছেন তিনি, 'আমরা দুটি ম্যাচেই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলেছি। তবে যদিও আমরা ড্র করেছি, তবুও প্রতিপক্ষের র‍্যাঙ্কিং বিবেচনায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।'

সেন্টার-ব্যাক পজিশনে খেলা দলনেতা আফঈদা একই প্রসঙ্গে যোগ করেছেন, 'জর্ডানের খেলোয়াড়রা শারীরিকভাবে আমাদের চেয়ে শক্তিশালী ছিল। আমরা সেদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটই গোল হজম করেছিলাম। কিন্তু আমরা কখনও হাল ছাড়িনি। আমরা দুবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতায় ফিরেছিলাম। কারণ, আমরা জানতাম যে যদি ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করতে থাকি, তাহলে যে কোনো মুহূর্তে খেলার মোড় বদলে যেতে পারে।'

মায়ানমারের মাটিতে আগামী ২৯ জুন থেকে ৫ জুলাই এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে অংশ নেবে বাংলাদেশের নারীরা। স্বাগতিকদের পাশাপাশি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান।

Comments

The Daily Star  | English

Nepal PM Oli quits as anti-corruption protests spiral, his aide says

The Himalayan country has struggled with political instability and economic uncertainty since protests led to the abolition of its monarchy in 2008.

56m ago