মেসি হারেনি, হেরেছে মায়ামি: ইব্রাহিমোভিচ

ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) কাছে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। তাতে অনেকেই সমালোচনায় মেতেছেন মেসির। এ সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন সুইডিশ কিংবদন্তি জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ।

ইউরোপের ট্রেবলজয়ী দল পিএসজির কাছে প্রথমার্ধেই চার গোল হজম করে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় মায়ামি। ম্যাচজুড়ে চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেননি মেসি। এরপর থেকেই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা—বলা হয়, বড় ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না মেসি। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেন, 'মেসির সময় শেষ।'

মূলত এক শ্রেণির মানুষজন সমালোচনায় মেতেছেন আর্জেন্টাইন তারকার। তাদের উদ্দেশ্যে এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে ফুটমার্কেটোকে ইব্রাহিমোভিচ বলেন, 'এই দলে নেই তারকার ছোঁয়া, নেই কাঠামো, নেই উচ্চ পর্যায়ের ফুটবল বোঝার সামর্থ্য। মেসিকে দোষ দেওয়া অবিচার!'

দলের ব্যর্থতায় মেসিকে হারতে হয়েছে জানিয়ে আরও বলেন, 'মেসির হার? না না, এই পরাজয়কে মেসির ব্যর্থতা বলো না! মেসি হারেনি, ইন্টার মায়ামি হেরেছে! তুমি এই দলটাকে দেখেছ? মেসি খেলছে কতোগুলো মূর্তি নিয়ে, ওর পাশে কোনো সতীর্থ নেই! যদি সে প্যারিসে, ম্যানচেস্টারে বা কোনো বড় দলে খেলতো, তাহলে দেখতে পেতে আসল সিংহকে।'

'মেসি খেলছে শুধু ভালোবাসার কারণে। কারণ এখনও সে এমন কিছু করতে পারে, যা ৯৯ ভাগ খেলোয়াড়ও পারে না! কিন্তু ওর পাশে আছে এমন সব খেলোয়াড়, যাদের দৌড়ানো দেখে মনে হয় যেন তারা সিমেন্টের বস্তা টেনে নিয়ে যাচ্ছে! না আছে কোচিং, না আছে তারকা, না আছে বল ছাড়াই কীভাবে মুভ করতে হয় তা বোঝার ক্ষমতা! আর তুমি দোষ দেবে মেসিকে?' যোগ করেন ইব্রা।

ভালো দল পেলে মেসি জ্বলে উঠতেন জানিয়ে বলেন, 'যেদিন সে খেলবে রোনালদো, এমবাপে, হালান্ড বা আমার মতো কারো সাথে, সেদিন কথা বলো! কিন্তু আজ? না, না, না! এটা সেই মেসি নয় যাকে আমি চিনি। আজ সে যেন এক ভূত, যে একটা সার্কাসে খেলছে। কিন্তু সাবধান! যদি তুমি ওকে একটা আসল দল দাও, ও আবার স্টেডিয়াম জ্বালিয়ে দেবে! কারণ খুব সহজ কথা, মেসি এখনও মেসিই! আজ যা হয়েছে, সেটা মেসির হার নয়, এটা ইন্টার মায়ামির এবং সমগ্র ফুটবলের ব্যর্থতা।'

এদিকে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর ইন্টার মায়ামিকে খুব শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াতে হবে এমএলএস মৌসুমের জন্য। মেসির লক্ষ্য এখন থাকবে ফিট থাকা এবং বছর শেষে জাতীয় দলের সঙ্গে ভালো মানের সতীর্থদের সঙ্গে খেলে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতার চূড়ায় ওঠা। কারণ ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে বদ্ধপরিকর আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

11h ago