লিগস কাপে থুতু ফেলার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন সুয়ারেজ

লিগস কাপ ফাইনালে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচ শেষে সিয়াটল সাউন্ডার্সের এক স্টাফের দিকে থুথু ছোড়ার ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ইন্টার মায়ামির এই উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড। অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সুয়ারেজ লিখেছেন, 'এটা ছিল প্রচণ্ড উত্তেজনা ও হতাশার এক মুহূর্ত, যেখানে ম্যাচ শেষে এমন কিছু ঘটে গেছে যা কখনোই হওয়া উচিত নয়। তবে আমার প্রতিক্রিয়ার কোনো অজুহাত নেই। আমি ভুল করেছি এবং আন্তরিকভাবে দুঃখিত।'
রোববার লুমেন ফিল্ডে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন ইন্টার মায়ামিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখায় সিয়াটল সাউন্ডার্স। শেষ বাঁশি বাজতেই তরুণ মিডফিল্ডার ওবেদ ভার্গাসকে লক্ষ্য করে ছুটে যান সুয়ারেজ। তাকে হেডলকে নেওয়ার পর মাঠে শুরু হয় হাতাহাতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। কিন্তু তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে, এক সাউন্ডার্স নিরাপত্তাকর্মীর দিকে থুথু ছুড়েছেন সুয়ারেজ।
ঘটনার জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে তিনি আরও লিখেছেন, 'যা হয়েছে তার জন্য আমি ভীষণ খারাপ বোধ করছি। আমি চাইনি ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে। যারা আমার আচরণে কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।'
এ ঘটনায় লিগস কাপ ও মেজর লিগ সকার কতটা শাস্তি দেবে তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। তবে সুয়ারেজ আশাবাদী, দ্রুত এগিয়ে গিয়ে ইন্টার মায়ামির হয়ে মৌসুমের বাকি সাফল্যের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেন।
ইন্টার মায়ামিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'এ ধরনের আচরণ আমাদের খেলার মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না। মাঠের ভেতরে ও বাইরে সর্বোচ্চ স্পোর্টসম্যানশিপ বজায় রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘটনাটি যথাযথভাবে সমাধানের জন্য লিগস কাপ ও এমএলএস কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।'
তবে এই প্রথম নয়, আগেও বিতর্কের জন্য শাস্তি ভোগ করেছেন সুয়ারেজ। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির জর্জিও কিয়েলিনিকে কামড় দেওয়ার ঘটনায় চার মাসের জন্য ফুটবল থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও একাধিক কামড়ের ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন। ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরাসি তারকা প্যাট্রিস এভ্রাকে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগে আট ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। আর ২০১০ বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে গোললাইন থেকে ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল করে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এই উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড।
Comments